বিষ বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মানুষের প্রাণনাশক হতে পারে৷ কিন্তু কথায় বলে বিষে বিষ ক্ষয়৷ তাইতো সাপ, বিছা কিংবা মাকড়সার মত বিষধর প্রাণীর বিষ থেকে জীবন রক্ষাকারী ওষুধ তৈরি হয়৷
বিষ থেকে হৃদরোগের ওষুধ:
অস্ট্রেলিয়ার এই সাপটি সবচেয়ে বিষধর সাপ বলে ধারণা করা হয়৷ অথচ এই সাপের বিষ হৃদরোগের ওষুধ তৈরিতে ব্যবহৃত হয়৷

বিছা বেশ কাজের:
কাকড়া বিছার বিষ ভয়াবহ এবং এই বিষে মানুষের মৃত্যু হতে পারে৷ কিন্তু এর বিষ ব্যথা কমানোর ওষুধে এবং হৃদরোগের ওষুধ তৈরিতে ব্যবহৃত হয়৷

মাকড়সা থেকে ওষুধ:
এই বিষধর মাকড়সার দেখা মেলে চিলিতে৷ আর হৃদরোগ উপশমে ব্যবহার করা হয় এটিকে৷ বিশেষজ্ঞদের ধারণা এটির বিষ বন্ধ্যাত্ব দূর করতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে৷

বাতের ব্যথা সারায় মৌমাছির হুল:
বাতের ব্যথা কমাতে ‘মৌমাছির হুল’ চিকিৎসা করা হয়৷ দেহের যে স্থানে ব্যথা থাকে সেখানে হুল ফোটানো হয়৷ চিকিৎসার এই ধরন প্রায় তিন হাজার বছরের পুরানো৷

আলজাইমারের চিকিৎসা:
বিজ্ঞানীরা বলেন দক্ষিণ আফ্রিকায় হলুদ রংয়ের এই সাপের বিষ স্মৃতিশক্তি ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করে৷ অর্থাৎ আলজাইমারের ক্ষেত্রে এই সাপের বিষ অত্যন্ত ভালো ওষুধ৷

বেদনানাশক শামুক:
শামুকের মুখ থেকে এক ধরনের বিষাক্ত পদার্থ বের হয়৷ এটি বেদনানাশক ওষুধে ব্যবহৃত হয়৷

কোবরার বিষ:
গলায় কালো রংয়ের এই কোবরা বা কেউটে সাপের বৈশিষ্ট্য হল, এরা ফনা তুলে বাতাসে বিষ ছোড়ে৷ এর বিষ অত্যন্ত মারাত্মক৷ কিন্তু এই বিষই অনেক রোগের ওষুধ তৈরিতে ব্যবহৃত হয়৷

বহুমূত্র রোগের চিকিৎসা:
এই প্রজাতির টিকটিকির বিষ ডায়াবেটিস বা বহুমূত্র রোগের ওষুধ তৈরির ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়৷ এর লালায় বিশেষ ধরনের একটি রাসায়নিক পদার্থ থাকে যা রক্তে চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে৷

Source: dw.de
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য কর্তৃপক্ষ দায়ী নন।)