মেইক ইউরসেল্ফ (রুপচর্চা,পারসোনালিটি,ক্যারিয়ার,স্বাস্থ্য)

ওজু করলে মেকআপ নষ্ট হয়ে যাবে তো!!!

ওজু করলে মেকআপ নষ্ট হয়ে যাবে তো!!!
খুবই অনুশোচনার বিষয়। মুসলমানরা নামাজ না পরার ক্ষেত্রে অজুহাত খুঁজে। এক্ষেত্রে ছেলে- মেয়ে কেউ কারো চেয়ে কম নয়। তবে আজকে সেই সব মেয়ে ও তাদের পরিবার নিয়ে লিখবো- যাদের অজুহাত- “ওজু করলে মেকআপ নষ্ট হয়ে যাবে তো”! বিয়ের দিনে ‘বউ’রা নামাজ না পরার ক্ষেত্রে কিংবা (তাদের ভাষায়) নামাজ কাযা করার ক্ষেত্রে কয়েক ধাপ এগিয়ে। বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা রাতে হলেও; স্বনামধন্য পার্লারে দুপুর থেকে সিরিয়াল দিতে হয়। পারলে আগে থেকে অ্যাপয়েনমেন্ট নিয়ে রাখতে হয়। এদিকে পার্লারের ওয়েটিং রুমে বসে থাকতে থাকতে কিংবা সাঁজতে সাঁজতে আসর- মাগরিব চলে যায়। তবে বউ ও তার পরিবারের মধ্যে এই অনুভূতি কাজ করে না যে, “আমাদের নামাজ পড়তে হবে”। তাদের মনোভাব এমন যে- “কাযা তুলে নিবো”! তাই প্রশ্ন করতে ইচ্ছে হয়-কাযা কি জিনিস? যেখানে সময় মতো নামাজ পড়ার নির্দেশনা রয়েছে? “…নামাজ নির্ধারিত সময়ে পড়ার জন্য মু’মিনদের ওপর ফরজ করা হয়েছে” (সূরা নিসা, আয়াত-১০৩)। এদিকে তাদের এমন মনোভাবের কারণে নারী সমাজের চিত্র পরিবর্তন হচ্ছে না। তা নাহলে বিউটি পার্লারেই ইসলামের সৌন্দর্য ফুটে উঠতো। একযোগে বউ+ বঊ এর সাথীরা নামাজ পড়া শুরু করলে পার্লার কর্মীসহ সেখানে আসা অন্যান্য নারীরাও নামাজের গুরুত্ব বুঝতেন। অথচ, সেই মনোভাব তো আমাদের মধ্যে কাজ করছেই না বরং আমরা নতুন জীবন শুরু করছি আল্লাহ’র আদেশকে অমান্য করে। সুতরাং রহমত নাজিল হবে কি করে? এদিকে বউ হোক কিংবা আমরা যখন সেজেগুজে কোনো পার্টিতে বা কোনো আত্মীয়’র বাসায় যাই তখন নামাজ না পড়ার পিছনে যুক্তি দিয়ে বলি- ‘ওজু করলে মেকআপ নষ্ট হয়ে যাবে তো’! যদিও মেকআপ করার আগে ওযু করে নিলেই তো হয়। মেকআপ ধুয়ে যাওয়ার চিন্তা থাকবে না। আর সময় মতো নামাজও পড়ে নেয়া যাবে। সবশেষে, নামাজ হচ্ছে ঈমান থাকা না থাকার মাপকাঠি। সুতরাং, আমরা যারা নিজেদের মুসলমান বলে থাকি- আশা করি ঈমানদার (বিশ্বাসী) হওয়ার চেষ্টা করবো।  

আপনার মতামত দিন:

(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য কর্তৃপক্ষ দায়ী নন।)
লেখকের অন্যান্য ব্লগ সবগুলো দেখুন