
আপনি নারী এবং আপনি কর্মজীবী? তাহলে এবার সময় এসেছে নিজেকে নিয়ে একটুখানি ভাবার। কেমন পোশাক পরেন আপনি কর্মক্ষেত্রে, কীভাবে সাজসজ্জা করেন? আপনার পোশাক, সাজসজ্জা, স্টাইল... সর্বোপরি আপনার "লুক" কর্মক্ষেত্রের উপযোগী হচ্ছে তো?
কিছুদিন আগেও কর্মক্ষেত্রে নিজের "লুক" নিয়ে কেউ ভাবতো না বড় একটা। কিন্তু আজকাল দিন বদলেছে। নতুন প্রজন্ম কর্মক্ষেত্রে নিজেকে অত্যন্ত মার্জিতভাবে উপস্থাপন করে একটি নতুন স্ট্যান্ডার্ড তৈরি করে দিয়েছে। এবং এখন সময়, সেই স্ট্যান্ডার্ডের সাথে তাল মেলানোর। কারণ নারীদের জন্য কর্মক্ষেত্র এখন আর কেবল অর্থ উপার্জনের স্থান নেই। উল্টো কর্মক্ষেত্র ক্রমশ হয়ে উঠেছে সকলের জন্যই জীবনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি স্থান। যতটা গুরুত্বপূর্ণ নিজের পরিবার ও আপনজন, ঠিক ততটাই জরুরী এখন কর্মক্ষেত্র নারীদের চোখে। এখানেই তাঁরা বড় হবার স্বপ্ন দেখেন, নিজে কিছু করার জন্য পরিশ্রম করেন।
সুতরাং বলাই বাহুল্য যে, কর্মক্ষেত্রে নিজের ইমেজের দিকে লক্ষ্য রাখা অত্যন্ত জরুরী। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, কর্মক্ষেত্রে নিজের লুক নির্বাচনের সময় কোনদিকে বেশি নজর দেবেন? নিজেকে আকর্ষণীয় দেখানোর দিকে, নাকি একটি মার্জিত ও নিয়ন্ত্রিত লুক বেছে নেয়ার দিকে? সহজ করে বলতে গেলে, যে পোশাকটি আপনাকে সবচাইতে বেশি মানায় সেটা পরবেন? নাকি যে পোশাক আপনার পেশা ও কর্মক্ষেত্রের সাথে মানানসই সেটা পরবেন?
এবং উত্তরটা হচ্ছে- আপনার পেশা, পদমর্যাদা ও কর্মক্ষেত্রের সাথে মানানসই পোশাকটি পরুন অবশ্যই। সেই হিসাবে সাজসজ্জা করুন এবং নিজের স্টাইল নির্বাচন করুন। কেবল সুন্দর দেখাবার জন্য সাজসজ্জা করার অবসর অনেক ভাবে, কিন্তু কর্মক্ষেত্রে দারুণ সুন্দরী বা আকর্ষণীয় দেখাবার চাইতে মার্জিত দেখানোটা অনেক বেশি জরুরী। অনেকেই আছেন, যারা নিজের সবচাইতে দামী কিংবা সবচাইতে ভালো পোশাকটি কর্মক্ষেত্রে পরে থাকেন। কিংবা নতুন একটা পোশাক বা এক্সেসরিজ কিনলেই সেটা কর্মক্ষেত্রে ব্যবহার করেন। ভুলে যান যে সেটি কর্মক্ষেত্রে মানাবে কি মানাবে না। অনেকে আবার পোশাক মানানসই পড়লেও মেকআপ অনেক বেশি করা নিয়ে থাকেন। এমন মেকআপ, যেটা হয়তো একটি পার্টি বা বন্ধুদের আড্ডার মানিয়ে যাবে সহজে কিন্তু অফিসে মানাবে না। মেকআপে উৎকট রঙের ব্যবহার, চুলে এক্সপেরিমেন্টাল হেয়ার স্টাইল কিংবা খুব বেশি কড়া উগ্র ফ্লেভারের পারফিউল ব্যবহার কড়া- এই সবই যতটা সম্ভব পরিহার করুন।
একটা জিনিস কখনো ভুলে যাবেন না- আমি সেখানে কাজ করতে গিয়েছেন, স্টাইল করতে নয়। সেই পোশাকটি পরুন যেটি আপনার জন্য আরামদায়ক ও কর্মক্ষেত্রের ড্রেসকোডের সাথে মানানসই। সেইভাবে সাজসজ্জা করুন, যেটা নিয়ে সারাদিন কাজ করতে আপনার কোন অসুবিধা হবে না এবং কিছুক্ষণ পর পরক মেকআপ ঠিক করার দিকে মনযোগ দিতে হবে না। সে ধরণের জুতো বা পারফিউম বেছে নিন যার আওয়াজ কারো সমস্যা করবেন না কিংবা গন্ধে কেউ অস্বস্তি বোধ করবেন না। ব্যাগ , কানের দুল বা অন্যান্য এক্সেসরিজের ক্ষেত্রেও মাথায় রাখু... যে এটা অফিস। এখানে প্রয়োজনটাই আগে। অপ্রয়োজনীয় কিছু অযথা ব্যবহার করা এখানে শোভা পায় না।
সূত্র- প্রিয় ডট কম।
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য কর্তৃপক্ষ দায়ী নন।)