বিবিধ

supported GAZA, অন্তরে ভিন্নতা

supported GAZA, অন্তরে ভিন্নতা
ইতিহাসের নিকৃষ্ট অমানবিক অনাকাঙ্ক্ষিত যুদ্ধ চলছে মুসলিম ঐতিহ্যের উপত্তকা গাযাতে। মাহে রমযানের পবিত্র এ মাসে হযরত মুসা আঃ এর অনুসারীর মিথ্যা দাবীদার ইসরাইল এ পর্যন্ত ৯০০ নিরস্ত্র মানুষকে হ... করেছে। নারী ও শিশু যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক। মুসলিম ধরমালম্বির বৃহত্তর উৎসব ইদুল ফিতর কে সামনে রেখেও যে হামলা বন্ধের কোন লক্ষন দেখা যাচ্ছে না। উলটা এক অধ্যাপকের বক্তব্য যেন সামনে আরও ভয়াবহতার দিকেই ঠেলে দেবে! উহ কি অমানবিক অকল্পনিও! হ... গুম লুট এবং নারী নির্যাতন আজ সেখানকার নৈমিত্তিক ব্যাপার। এবার ঘোষণা দিয়ে ধ...ের ডাক দিয়েছে তারা! এহেন পরিস্তিতিতে দোয়া কবুলের এ মাসে প্রতি ওয়াক্তে বিশেষ দোয়া করা ছাড়া আমাদের আর কিই বা করার আছে। আলোচ্য পরিস্থিতি বিবেচনায় মিডিয়ায় ব্যাপক ঝরহাওয়া বইছে। দুঃখ জনক হলেও সত্য যে, সব কিছুতেই রাজনৈতিক গন্ধ খোঁজার দেশীও সংস্কৃতিতে বেড়ে উঠায় এখানেও তাই করছি। তিন ধারায় বিভক্ত এরা। একদল প্রকাশ্যে এখনো ইসরাইলের পক্ষাবলম্বন করে স্ট্যাটাস দিচ্ছে। যদিও এদের সংখ্যা এত বেশী না এবং এসব পক্ষে বিপক্ষে স্ট্যাটাস দেওয়া না দেওয়ায় তেমন কিছু আসে জায়ও না। তবুও, তবুও দুঃখ হয় এদের হীন মন মানসিকতা দেখ! নাম ধাম চেহেরা সূরত দেখে বোঝার উপায় নেই যে এরা মুসলিম ভিন্ন অন্য কোন ঘরে জন্ম নিয়েছে (তবে প্রকিত সত্য হোল সত্যিই এদের জন্মের সমস্যা আছে)। জাক সে কথা,এদের নিয়ে এত বেশী শঙ্কিত হওয়ার কোন কারন নাই। কারন যেখানে মুসার জন্ম সেখানেই ফেরাউনরা থাকবে, যেখানে মুহাম্মাদের জন্ম সেখানে আবু জেহেল আবু লাহাব মুনাফিক নেতা আব্দুল্লাহ ইবনে উবাই না থেকে পারে? দ্বিতীয় পক্ষ, যারা পক্ষালম্বন করছে, সারাক্ষন স্ট্যাটাস দিয়ে থুপ করে ফেলছে,আবেগে উচ্ছ্বাসে কত শত কমেন্টস কত দরদ যাদের উচলে পরছে, ভিতরটা কি এতোটাই উর্বর? এরা তো পারলে এখনি গিয়ে অস্ত্র ধরবে গাযার মুসলমানদের পক্ষে, কিন্তু প্রকিত সত্য কি এতোটাই ভরসা রাখতে পারে তাদের উপর? না। অবশ্যই ব্যাপারটা এমন নয়। এদের মধ্যে দুই ধরনের মানুষ বাস কড়ছে। একদল শুধুই কেবল আবেগের বসবতি হয়ে লাইক কমেন্টস স্ট্যাটাসে ব্যস্ত। এরা জানেনা প্রকৃত ঘটনা প্রবাহ। জানেনা সেখানকার মুক্তিকামী মানুষের সংগ্রামে নেতৃত্ব দানকারী সংগঠন এবং এর নেতাদের সম্পর্কে। এরা এও বুজি এখনো বুজতে পারেনি যে আমাদের মধ্যে এত আবেগ উচ্ছ্বাস থাকলেও মুসলিম উম্মাহর নেতৃত্ব দানকারী সংগঠন, রাষ্ট্র বা রাষ্ট্র প্রধানরা নীরব কেন? এই পক্ষটি প্রকৃত সত্য এবং বুজ হৃদয়াঙ্গম না করার দরুন, হাজারো লাইক কমেন্টস আর স্ট্যাটাস দিলেও ঠিকই ক্যান্টিনের আড্ডায় পেপসি কোঁকাকলা ছাড়া হজম হয়না! KFC বসা ছাড়া এদের আড্ডাই জমে না! আড়ঙের পোশাক ছাড়া তো ঈদই হবেনা! শাহজালাল সাহ মাখদুম সাহ পরানের এই বধ্যভূমিতে যখন ইসলামের উপর আঘাত হানে তখনো এই গুষ্টিটিও নীরব! একের পর এক আমাদের তাহজিব তমুদ্দুন যখন ধ্বংস প্রায়, ইসলাম ও ইসলামি আন্দলনের কর্মীরা যখন নির্যাতিত, নানাবিধ দেশীও ও আন্তজাতিক ষড়যন্ত্রে যখন ইসলাম ও এদেশ আক্রান্ত তখন এরা বড়োই সেলুকাস! তৃতীয় ধারাটি নিশ্চয় কোন আবেগের বসবতি না হয়ে জীবনের প্রতিটি মহুরতে কাজ করে যাচ্ছে ইসলাম ও মুসলিম উম্মাহর জন্য। এদের কোন ভৌগলিক সীমারেখা নাই। দেশ জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে উম্মাহর কল্যাণে এরা সদাই প্রস্তুত। আল্লাহপাক সবাইকে হেদায়েত দান করুক এবং গাযাকে রক্ষা করুক। আমিন।।

আপনার মতামত দিন:

(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য কর্তৃপক্ষ দায়ী নন।)
সম্পর্কিত ব্লগ
লেখকের অন্যান্য ব্লগ সবগুলো দেখুন