দুবাই, ০১ জুলাই- হ্যাঁ, দুবাইয়ের বুর্জ খলিফায় যারা বাস করেন, তারা তিন সময়েই ইফতার করেন। হবে না কেনো! পৃথিবীর সবচেয়ে উঁচু ইমারত ১৬০ তলার এই বুর্জ। উচ্চতা যে দুই হাজার ৭২২ ফুট।
এই উচ্চতার কারণেই সেখানে সময়ের এই হেরফেরটা হয়। অর্থাৎ ইমারতের নিচতলায় যখন সূর্য ডুবে, ১৬০তম তলায় ডুবে এর আরো তিন মিনিট পর। আবার সূর্য উঠার সময় ঘটে উল্টোটা- ১৬০তম তলায় সকালটা তিন মিনিট আগেই হয়ে যায়।
একই ভবনে সকাল-সন্ধ্যার এই হেরফেরের কারণেই সেখানে ইফতার ও সেহরির সময়েও ব্যবধান রয়েছে। ২০১১ সালে এমনটিই জানিয়েছিলেন দুবাই ইসলামিক অ্যাফেয়ারস ডিপার্টমেন্টের তৎকালিন ফতোয়া বোর্ডের প্রধান আহমেদ আব্দুল আজিজ আল হাদ্দাদ। তিনি বলেন, ভবনের উচ্চতার বিভিন্নতার কারণে বুর্জ খলিফার বাসিন্দারা ভিন্ন ভিন্ন সময়ে ইফতার, ফজরের নামাজ ও মাগরিবের নামাজ পড়বেন। দুবাইয়ের এই ডিপার্টমেন্ট ২০১১ সালে ইমারতটিতে ইফতার ও সেহরির জন্য তিন রকম সময় নির্ধারণ করে।
তাদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ১৬০ তলাবিশিষ্ট এই ভবনটির ৮০ তলার উপরে যারা বসবাস করেন তারা নিচতলার জন্য নির্দিষ্ট সময়ের দুই থেকে তিন মিনিট পর ইফতার করে আসছেন।
হাদ্দাদ জানান, যেসব মুসলমান ভবনের ৮০ থেকে ১৫০তম তলায় থাকেন তারা নির্দিষ্ট সময়ের দুই মিনিট পর ইফতার করবেন। অর্থাৎ ওই এলাকার মসজিদে যখন মাগরিবের আযান হবে তারও দুই মিনিট পর তারা ইফতার করবেন। আর যারা ১৫১ থেকে ১৬০তম তলার মধ্যে থাকেন তারা আরো এক মিনিট পর অর্থাৎ আযান দেয়ার তিন মিনিট পর ইফতার গ্রহণ করবেন।
ডিপার্টমেন্টের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ইফতারের মতো উপরের তলার বাসিন্দাদের সেহরির সময়েও হেরফের হয়। নির্দিষ্ট সময়ের দুই থেকে তিন মিনিট আগে তারা সেহরি শুরু করেন। সময়ের এ ভিন্নতার কারণ হিসেবে জানানো হয়, রোজাদার যে এলাকায় থাকবেন সেখানকার সময়েই তাকে ইফতার করতে হবে। এমনকি রোজাদার যদি বিমানে চড়ে কোথাও যান, সে ক্ষেত্রেও তিনি যে এলাকার আকাশে থাকবেন সেখানকার সময়েই ইফতার করবেন।
উল্লেখ্য, বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু এ ভবনটির নির্মাণকাজ শুরু হয় ২০০৪ সালের ৬ জানুয়ারি। শেষ হয় ২০১০ সালে। ভবনটি উদ্বোধন করা হয় ২০১০ সালের ৪ জানুয়ারি। এটি নির্মাণে খরচ হয় দেড় হাজার কোটি মার্কিন ডলার।
বিবিধ
একই ভবন কিন্তু ইফতারের সময় তিনটি!
ব্লগটি লিখেছেন: osi
| ২ জুলাই ২০১৪
দুবাই, ০১ জুলাই- হ্যাঁ, দুবাইয়ের বুর্জ খলিফায় যারা বাস করেন, তারা তিন সময়েই ইফতার করেন। হবে না কেনো! পৃথিবীর সবচেয়ে উঁচু ইমারত ১৬০ তলার এই বুর্জ। উচ্চতা যে দুই হাজার ৭২২ ফুট।
এই উচ্চতার কারণেই সেখানে সময়ের এই হেরফেরটা হয়। অর্থাৎ ইমারতের নিচতলায় যখন সূর্য ডুবে, ১৬০তম তলায় ডুবে এর আরো তিন মিনিট পর। আবার সূর্য উঠার সময় ঘটে উল্টোটা- ১৬০তম তলায় সকালটা তিন মিনিট আগেই হয়ে যায়।
একই ভবনে সকাল-সন্ধ্যার এই হেরফেরের কারণেই সেখানে ইফতার ও সেহরির সময়েও ব্যবধান রয়েছে। ২০১১ সালে এমনটিই জানিয়েছিলেন দুবাই ইসলামিক অ্যাফেয়ারস ডিপার্টমেন্টের তৎকালিন ফতোয়া বোর্ডের প্রধান আহমেদ আব্দুল আজিজ আল হাদ্দাদ। তিনি বলেন, ভবনের উচ্চতার বিভিন্নতার কারণে বুর্জ খলিফার বাসিন্দারা ভিন্ন ভিন্ন সময়ে ইফতার, ফজরের নামাজ ও মাগরিবের নামাজ পড়বেন। দুবাইয়ের এই ডিপার্টমেন্ট ২০১১ সালে ইমারতটিতে ইফতার ও সেহরির জন্য তিন রকম সময় নির্ধারণ করে।
তাদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ১৬০ তলাবিশিষ্ট এই ভবনটির ৮০ তলার উপরে যারা বসবাস করেন তারা নিচতলার জন্য নির্দিষ্ট সময়ের দুই থেকে তিন মিনিট পর ইফতার করে আসছেন।
হাদ্দাদ জানান, যেসব মুসলমান ভবনের ৮০ থেকে ১৫০তম তলায় থাকেন তারা নির্দিষ্ট সময়ের দুই মিনিট পর ইফতার করবেন। অর্থাৎ ওই এলাকার মসজিদে যখন মাগরিবের আযান হবে তারও দুই মিনিট পর তারা ইফতার করবেন। আর যারা ১৫১ থেকে ১৬০তম তলার মধ্যে থাকেন তারা আরো এক মিনিট পর অর্থাৎ আযান দেয়ার তিন মিনিট পর ইফতার গ্রহণ করবেন।
ডিপার্টমেন্টের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ইফতারের মতো উপরের তলার বাসিন্দাদের সেহরির সময়েও হেরফের হয়। নির্দিষ্ট সময়ের দুই থেকে তিন মিনিট আগে তারা সেহরি শুরু করেন। সময়ের এ ভিন্নতার কারণ হিসেবে জানানো হয়, রোজাদার যে এলাকায় থাকবেন সেখানকার সময়েই তাকে ইফতার করতে হবে। এমনকি রোজাদার যদি বিমানে চড়ে কোথাও যান, সে ক্ষেত্রেও তিনি যে এলাকার আকাশে থাকবেন সেখানকার সময়েই ইফতার করবেন।
উল্লেখ্য, বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু এ ভবনটির নির্মাণকাজ শুরু হয় ২০০৪ সালের ৬ জানুয়ারি। শেষ হয় ২০১০ সালে। ভবনটি উদ্বোধন করা হয় ২০১০ সালের ৪ জানুয়ারি। এটি নির্মাণে খরচ হয় দেড় হাজার কোটি মার্কিন ডলার।
সকল বিভাগসমুহ:
- মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশ(১৩)
- সাহিত্য(৩৮৬)
- উৎসব(০)
- পরিবার ও আমি (বিয়ে ,দাম্পত্য,শিশু লালন পালন )(১৩৪)
- মেইক ইউরসেল্ফ (রুপচর্চা,পারসোনালিটি,ক্যারিয়ার,স্বাস্থ্য)(১৩৩)
- উইমেন (সামাজিক,মানসিক,সুবিধা বঞ্চিত নারী)(১৭০)
- অনির্ধারিত(১৫৪)
- ইতিহাসের পাতা থেকে(১৭)
- নোটিশ বোর্ড(৬)
- বিবিধ(৩২৪)
- রান্নাবান্না(১০৪)
- ফিল্ম ও মিডিয়া(২১)
- ধর্ম ও গবেষনা(১০৬)
- অনুবাদ(১৬)
- ইন্টারন্যাশনাল উইমেন(৪০)
- বই পরিচিতি/বই রিভিউ(১৭)
- নিউজ(০)
- অপরাজিতা(০)
- নোটিশ বোর্ড(০)
- তথ্যচিত্র(০)
জনপ্রিয় ব্লগসমুহ:
-
গল্প হলেও সত্যি (শেষ পর্ব)
১২ সেপ্টেম্বার ২০১৯ভিউ হয়েছে: 1809 -
So, if you wishing...
১৫ মার্চ ২০২৩ভিউ হয়েছে: 1708 -
নারী ও পুরুষ হোক পরস্পরের সহযোগী
১৭ জানুয়ারী ২০২১ভিউ হয়েছে: 1551 -
চন্দ্রগ্রহণে চন্দ্রাহত জীবন
৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ভিউ হয়েছে: 1546 -
এটা কিসের ব্লগ?
১০ মার্চ ২০১৪ভিউ হয়েছে: 1501
অনলাইনে আছেন:
সম্পর্কিত ব্লগ
টুকরো কথন-৪
Women Express
১৭ মে ২০২৩
টুকরো কথন-৩
Women Express
৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
টুকরো কথন-২
শুকনোপাতার রাজ্য
৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
অতল নামের তীব্র ছটা
লাল নীল বেগুনী
৬ জুলাই ২০২১
লেখকের অন্যান্য ব্লগ সবগুলো দেখুন
কেন এই নারী দিবস
ওসি সাহেব
৮ মার্চ ২০১৭
রোকেয়ার শিক্ষা ও আজকের নারী
ওসি সাহেব
৯ জানুয়ারী ২০১৭
ভূস্বর্গ রাঙামাটি ভ্রমণ
ওসি সাহেব
২৩ ডিসেম্বার ২০১৬
৯ জেলার দায়িত্ব এখন নারীর হাতে
ওসি সাহেব
২৬ আগষ্ট ২০১৬
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য কর্তৃপক্ষ দায়ী নন।)