ধর্ম ও গবেষনা

আমার প্রথম ঈমামতি ও অভিজ্ঞতা

আমার প্রথম ঈমামতি ও অভিজ্ঞতা
এলাকার কিছু বান্ধবীদের সাথে আড্ডা দিতে গিয়ে মাগরিবের ওয়াক্ত হয়ে যায়। এমন সময় এক ফ্রেন্ড বলে- " আজ তুই আমাদের ঈমামতি করাবি"। কখনো ঈমামতি করাই নি, তাই 'না', 'না' বলা শুরু করলাম। তবে ফ্রেন্ডদের চাপাচাপিতে রাজি হই। ঈমামতি করাতে গিয়ে এক চমৎকার অভিজ্ঞতা হয়। এমনিতে নামাজের মধ্যে একাগ্রতা বজায় রাখা অতীব জরুরী হলেও অনেক সময় দেখা যায় মন এদিক-সেদিক চলে যায়। তবে ঈমামতির সময় মন এদিক-ওদিক যাওয়া তো দূর, নিজের ওপর যেনো এক বিরাট দায়িত্ব অনুভব করলাম। মনে হচ্ছিলো- আমার সাথে থাকা প্রত্যেকটা মেয়েকে ঠিকভাবে leading দেয়া লাগবে। একটু ভুল হওয়া যাবে না। যেনো মাথায় এক pressure কাজ করছিলো। কিছু সময়ের প্রতিনিধি হিসাবে এক কঠিন দায়িত্ব... এখন কেউ কেউ প্রশ্ন করতে পারেন যে- মেয়ে ঈমামতি করাতে পারে নাকি? তাই বিষয়টা একটু পরিষ্কার করে বলতেঃ মেয়ে মেয়েদের ঈমামতি করাতে পারবে। আর ছেলেদের মতো ভিন্ন কাতারে না দাঁড়িয়ে মহিলা ঈমাম সব মেয়েদের সাথে একই কাতারে দাঁড়াবে, যেমনটি হযরত আ'য়েশা রাঃ করেছিলেন। মাওলানা আব্দুর রাহিম এর লেখা "নারী" বইটির ৭৭ নং পৃষ্ঠায় বর্ণিতঃ নারীরা পুরুষের থেকে আলাদা ভাবে জামাতের সাথে নামাজ পড়তে পারে। উম্মে অরাক্কা নাম্মী মহিলা সাহাবীকে রাসূলুল্লাহ সাঃ নিজেই নির্দেশ দিয়েছিলেন ঘরের লোকদের নিয়ে একত্রে নামাজ পড়তে ও ঈমামতি করতে। রীতা হানফিয়া নাম্মি-তাবেয়ী মহিলা বর্ণনা করেনঃ হযরত আ'য়েশা রাঃ আমাদের মহিলাদের ঈমামতি করেছিলেন ফরজ নামাজের। অবশ্য তিনি মহিলাদের মধ্যেই দাঁড়িয়েছিলেন। (পুরুষের ন্যায় কাতারের সম্মুখে দাড়ান নি)। এদিকে তাইমা বিনতে সালমা বলেছেনঃ হযরত আ'য়েশা রাঃ মাগরিবের ফরজ নামাজের ঈমামতি করেছেন। তিনি মহিলাদের সঙ্গে কাতারে দাঁড়িয়েছেন, উচ্চস্বরে কে'রাত পাঠ করেছেন। (আল মুহাল্লা-ইবনে হাজম)বস্তুত, মেয়েদের আলাদা জামাতে নামাজ পড়া ও তাতে একজন মহিলার ঈমামতি করা সম্পূর্ণ জায়েজ। বিশিষ্ট সাহাবী হযরত আব্দুল্লাহ ইবন আব্বাস রাঃ এই মত প্রকাশ করেছেন। তাছাড়া এই লিঙ্কটাও দেখতে পারেন...https://islamqa.info/en/258

আপনার মতামত দিন:

(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য কর্তৃপক্ষ দায়ী নন।)
লেখকের অন্যান্য ব্লগ সবগুলো দেখুন