অনির্ধারিত

স্বপ্ন

স্বপ্ন
অনেকদিন হয়ে গেল ঠান্ডা লেগেছে। একের পর এক ঔষধ খেয়ে যাচ্ছি, কমার গতি খুব অল্প।ঠান্ডার ঔষধ গুলা আবার আরেক যন্ত্রনা। খেলেই ঘুম পায়। আজকে ভার্সিটি নাই তাই সারাদিন নেশাখোরের মত ঘুমাচ্ছি। দুপুরবেলা ঘুমিয়ে একটা দারুন স্বপ্ন দেখলাম। দেখলাম অনেক বড় একটা ঘরে সারি সারি বুক সেলফ সাজানো।এরকমই একটা বুক সেলফে আমার জন্য একটা তাক রয়েছে। তাতে অল্প কিছু বই রাখা আছে যার বেশিরভাগই আমার পছন্দ হচ্ছে না। এক সময় নানু এসে আমাকে জিজ্ঞেস করলো – ফ্রাঙ্কেনস্টাইন বইটা কোথায়? আমি তো অবাক। নানু এই বই পড়বে! বললাম- এইখানেই তো ছিল। এখন তো দেখছি না। আমার জন্য যেই তাকটা ছিল সেটা বাইরে থেকে ছোট মনে হলেও ডেপথ অনেক বেশি।শুধু সিলেক্ট করে দিলেই হবে।পছন্দের সব বই পাওয়া যাবে সেখানে।কিভাবে পেতে হবে সেটা শিখলাম। আমার খুশি দেখে কে। ইশ, এখন সব বই পড়তে পাড়ব। যখন যেটা খুশি। আমার পছন্দের লিস্টটা আনতে গেলাম এমন সময় ঘুমটা ভেঙ্গে গেল। এটা তো গেল স্বপ্নের কথা। কিন্তু বাস্তবে যদি এমন হত। সেদিন ক্লাশে মিস বলছিলেন- ‘তোমরা চিন্তা ভাবনা করে জব লাইফে ঢুকবা।কোনো একটা জব হয়ে গেল আর চট করে তাতে জয়েন করে ফেল না। চিন্তা ভাবনা করো, প্যারেন্টস, হাজবেন্ড যার সাথে দরকার আলোচনা করে তারপর ডিসিশন নাও।তোমরা মেয়েরা সব কিছুতেই অনেক বেশি কমপ্লেইন করো। এই অভ্যাসটা খুব খারাপ। ডেডিকেশন যদি না থাকে, পার্সোনাল লাইফের সাথে ক্যারিয়ারের যদি ব্যালান্স না করতে পারো তাহলে নিজে তো আনহ্যাপি থাকবাই আশেপাশের সবার মধ্যেও তা ছড়িয়ে দিবা। তাই সাবধান।’ ক্লাস শেষে সবাই আলোচনা করছে- কর্পোরেট লাইফ খুব কঠিন।কে কোথায় যেতে চায় সেটা নিয়েও বহু রকমের গবেষনা শুরু হয়ে গেল। আমি ভাবছি এমন কোনো একটা জব যদি থাকতো যেখানে আমার কাজই হবে নিজের ইচ্ছা মত পছন্দের বই পড়া।যখন যেটা খুশি। আমি তাহলে সেখানেই যেতাম।

আপনার মতামত দিন:

(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য কর্তৃপক্ষ দায়ী নন।)
লেখকের অন্যান্য ব্লগ সবগুলো দেখুন
ফ্লাসমব

ফ্লাসমব

ঘাসফুল

১৭ মার্চ ২০১৪