অনির্ধারিত

কোথাও আমার হারিয়ে যাওয়ার নেই মানা..

কোথাও আমার হারিয়ে যাওয়ার নেই মানা..

বিকালটা ছিল ভয়ঙ্কর সুন্দর। অসম্ভব সুন্দর বিকাল আর ভয়ঙ্কর একাকীত্ব মিলে হয়ে যায় ‘ভয়ঙ্কর সুন্দর’। ছাই রঙা নীলচে আকাশের সামনে দাড়িয়ে, রক্তিম কৃষ্ণচূড়া গুলোর খিলখিল করা অকারণ উচ্ছ্বাস। বাতাস টা ছিল শান্ত কিন্তু চলমান, ঠিক যেন মায়ের কোলে বসে দোল খাওয়া। ঝিলের পানিটারও খুব ইচ্ছা হল দোল খাওয়ার, তাই সেও দুলল বাতাস এর সাথে। কোথায় যেন হারিয়ে গেলাম, ঢাউস এক মগ চা আর একটা বই হাতে, অথবা খুব পছন্দের কোন মানুষ এর সাথে ঠিক ঐ কৃষ্ণচূড়া গুলোর মত অকারণ খিলখিল করার বায়নায়।
ঘোর ভাঙল, স্বার্থপর সময়ের কড়ানাড়ায়। সময়টা চিরকালই স্বার্থপর, কারো জন্য কখনই অপেক্ষা করে না। ছুটলাম গন্তব্যে, নিজ শহরে। অনেক পথ পেরিয়ে পেয়ে গেলাম একজন পছন্দের মানুষ। আমি তার সখী? নাকি বউমণি?নাকি মামী? নাকি সবকটাই? আমি জানিনা। শহরটায় তখন সন্ধ্যা নেমেছে, রিক্সার ক্রিং ক্রিং, বাসের ভ্যা ভু, আয়েশ করে ফুটপাতে দাঁড়িয়ে কত রকম রকম খাওয়া। আমরাই আর পিছিয়ে থাকি কি করে!!!! চলল ফুটপাতে দাঁড়িয়ে, সুপ খেয়ে ঝাল পোহানোর পালা। তারপর ঘুরলাম নিওনের বাতি না জ্বলা, টুকিটাকির দোকানে, যেখানে লাল, নীল, বেগুনী সব পাওয়া যায়। আর সেই ফাঁকে চলল, কথার ফাঁকে ফাঁকে দুজনেরই মুখ টিপে হাঁসা।
এরপর আসলো একটা ঝুম বৃষ্টির রাত, আরও নতুন কিছু মানুষ, গল্পের তোরে অট্টহাসিতে কাঁপালও সব। স্বার্থপর সময়টার খুব গাঁ জ্বালা করছিলো, আরও একটা কথার ঝাঁপি না খুলতেই ফের কড়ানাড়লো, ‘ রাত গড়াচ্ছে, আর আড্ডা চলবে না।'


আপনার মতামত দিন:

(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য কর্তৃপক্ষ দায়ী নন।)