অনির্ধারিত

Nonviolent Communication ও আমাদের সামাজিক সম্পর্ক

Nonviolent Communication ও আমাদের সামাজিক সম্পর্ক

Violence এর ব্যাপারে কম বেশি আমরা সবাই কনসার্নড। মহাত্মা গান্ধীর সুবাদে Nonviolent Movement কনসেপ্ট এর সাথে ও আমরা পরিচিত। সহিংসতার পরিবর্তে ধৈর্যের সাথে অহিংস প্রতিবাদ/আন্দোলন করার মাধ্যমে দাবী আদায়ের এ পদ্ধতি যথেষ্ট প্রশংসনীয়।

কিন্তু যোগাযোগের ক্ষেত্রে? প্রতিনিয়তই আমরা একে অন্যের সাথে কমিউনিকেইট করছি। কিন্তু এই আলাপচারিতার violent form নিয়ে আমরা কনসার্নড না। Physical violence এর বিরুদ্ধে আমরা যতটা সোচ্চার Violent communication এর ব্যাপারে ততটা উদাসীন। Verbal violence কে আমরা অতো গুরুত্বপূর্ণ কিছু ভাবছি না বা দোষের কিছু ভাবছি না বরং কোন কোন ক্ষেত্রে আগ বাড়িয়ে এই ভায়োলেন্স কে মত প্রকাশের স্বাধীনতাও বলছি।

PhysicalPhysical Violence এর বেশির ভাগ এর -ই একটা verbal root থাকে। আজকের দিনে যতো সমস্যা তার অনেক গুলোই violent communication এর কারনে হচ্ছে। পরিবারে স্বামী-স্ত্রীর বা বউ-শ্বাশুড়ীর দ্বন্ধ গুলোর বেশির ভাগ-ই violent communication এর কারনে। সামাজিক, রাজনৈতিক সমস্যা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দ্বন্ধ-সংঘর্ষ গুলোর মুলেও একই কারন (আজকাল তো পাদের গন্ধ ছড়ানোর জন্য ও সংঘর্ষ হয়!---চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে সম্প্রতি হলো)। ছোট কোন আলাপচারিতা বা কথা থেকেই অনেক বড় কিছুর সূত্রপাত। আর সাম্প্রতিক কালের নাস্তিক-আস্তিক দ্বন্ধের কারন তো এই violent form of communication ই।

মানুষ সাধারণত শারীরিক আঘাতের কথা ভুলে গেলেও কথার আঘাতের কথা ভুলে না। এটা এক ধরনের দীর্ঘমেয়াদি শত্রুতার জন্ম দেয়। কারো মুখের কথা ও যে এক ধরনের ভায়োলেন্স হতে পারে এটা আমরা চিন্তা ও করি না যার কারনে সমস্যার মুলে পৌঁছা অনেক সময় সম্ভব হয় না। Nonviolent communication নিশ্চিত করা গেলে physical violence অনেকাংশে কমে যেতো।

# Violent Communication কি?

---কাউকে হেয় করা, অপমান করা, তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করে কথা বলা, উপহাস করা, ভয় দেখানো, মানসিক আঘাত পায় এমন কথা বলা, কারো বিশ্বাস বা সংস্কৃতিকে অপমান করা, গালিগালাজ করা, মত প্রকাশ করতে না দেয়া, ভুলভাবে লেবেলিং করা বা দোষারোপ করা, না জেনেই কারো বিরুদ্ধে অপপ্রচার করা ইত্যাদি ইত্যাদি যা সেই ব্যক্তিকে Psychologically or mentally কষ্ট দেয়। অনেক সময় না বুঝেই বা তেমন কিছু মনে না করেই এ ধরণের আচরন গুলো করা হয়।

# কেন মানুষ এমন করে? মানুষ কি জন্মগত ভাবেই এমন?

---মানুষ জন্মগত ভাবে nonviolent; কিন্তু কখনো কখনো violent আচরণের আশ্রয় নেয় কারন সে মনে করে এই পদ্ধতিটা কার্যকর! এ মানসিকতা তৈরি হয় পরিবেশ, ওরিয়েন্টেশান এবং লোকাল কালচার দ্বারা প্রভাবিত হয়ে। এ কারনে দেখা যায় অনেক বড় মাপের মানুষ হয়েও অনেকে এর আশ্রয় নিচ্ছে; আমাদের সংসদ এর ভালো উদাহরণ। একাডেমিক আলোচনাতেও কখনো কখনো মানুষজন ভায়োলেন্ট পদ্ধতির আশ্রয় নিচ্ছে (যেমন--টকশো) যেটা হওয়ার কথা ছিলো না।

Conflict Resolution এর একটা উত্তম পদ্ধতি তাই Nonviolent Communication. The Center for Nonviolent Communication এটা নিয়ে কাজ করছে ওয়ার্ল্ড ওয়াইড।

# Nonviolent Communication কি?

----NVC or Compassionate Communication is the process of communication that awaken compassion and generosity within ourselves and between each other. Nonviolent Communication helps us interact in ways that leave each of us feeling more whole and connected.

ব্যক্তি, সংগঠন, রাষ্ট্র,আস্তিক, নাস্তিক, ধার্মিক, বকধার্মিক, অধার্মিক সবাই যদি কমিউকেশান এর ক্ষেত্রে ননভায়োলেন্ট হতো তাহলে অনেক খু...াখু...ি কমানো সম্ভব হতো। আসুন nonviolent communication শিখি, চর্চা করি, violence free সমাজ গড়ি।


আপনার মতামত দিন:

(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য কর্তৃপক্ষ দায়ী নন।)