মেইক ইউরসেল্ফ (রুপচর্চা,পারসোনালিটি,ক্যারিয়ার,স্বাস্থ্য)

রমজান মাসে সুপারশপে খণ্ডকালীন চাকরি, প্রাধান্য পাবে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা

রমজান মাসে সুপারশপে খণ্ডকালীন চাকরি, প্রাধান্য পাবে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা
   বাজার মানেই হৈ-হুল্লোড়, চিৎকার-চেঁচামেচি আর তার সঙ্গে থাকছে জল-কাদায় মাখামাখি। এ ক্ষেত্রে রমজান মাস এলে তো আর কথাই নেই। তবে গত কয়েক বছরে বাজারের চেহারাটাই পাল্টে দিয়েছে সুপারশপগুলো। আর সে ক্ষেত্রে রমজানে রোজা রেখে ক্রেতাদের স্বস্তি মিলছে স্বাচ্ছন্দ্যে কেনাকাটা করতে। বড় পরিসরে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত পরিচ্ছন্ন পরিবেশে টেংরা-পুঁটি থেকে রুই-কাতলা, মাংস, চকলেট থেকে খেলনা, ফল-মূল, শাক-সবজি সবই পাওয়া যায় এই সুপারশপগুলোতে। আর তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে এ সেক্টরে চাকরির বড় বাজার। আর বিশেষ করে আগোরা, আলমাস সুপারশপ, নন্দন মেগা শপ, মিনা বাজার, স্বপ্ন সুপারশপ, নন্দন মেগা শপগুলো রমজান মাসে ক্রেতার বাড়তি চাপ সামলাতে প্রতি রমজান মাসে ঢাকাসহ সারা দেশে তাদের আউটলেটগুলোতে এক মাসের চুক্তিতে কাজে নিয়োগ দেয় শিক্ষিত তরুণ-তরুণীদের। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ভেদে ৫০ থেকে ১০০ জন ও তারও বেশি জনবল নিয়োগ দিয়ে থাকেন তাদের বিভিন্ন আউটলেটগুলোতে। তাই বিভিন্ন সুপারশপগুলোর পছন্দের তালিকায় প্রথমেই থাকছে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা। কাজের ক্ষেত্র: বর্তমানে দেশে ২৫-৩০টি চেইন সুপারশপ আছে। ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় এদের ২০০ থেকে ২৫০টির মতো আউটলেট রয়েছে। এ সব আউটলেটে কাজ করছে প্রায় ১২-১৩ হাজার কর্মী। তাছাড়া রমজান মাসে কাজে নিয়োগ দিচ্ছে অতিরিক্ত কর্মীদের। দিন দিন আউটলেটের সংখ্যা বাড়ছে। বাড়ছে কর্মীর চাহিদাও, আর সংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে কাজের ক্ষেত্র। অনেক তরুণ-তরুণী এ সব সুপারশপে কাজ করতে আগ্রহী হচ্ছে। সুপারশপ পরিচালনার জন্য অনেক লোকের প্রয়োজন। এখানে সেলসম্যান, ক্যাশিয়ার, ফ্লোর সুপারভাইজার, ফ্লোর ইনচার্জ, অ্যাসিস্ট্যান্ট ইনচার্জ, ম্যানেজারসহ বেশকিছু পদ রয়েছে।   কাজের সময়: সুপারশপগুলোতে সাধারণত দুইটি শিফট থাকে- সকাল ৭টা থেকে বিকাল ৪টা এবং বিকাল ৪টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত। তাই এক মাসে ভালো আয়ের জন্য এ সব সুপারশপ হতে পারে একটি অন্যতম ঠিকানা।   প্রয়োজনীয় যোগ্যতা ও দক্ষতা: সুপারশপে কাজ করার জন্য কমপক্ষে এসএসসি পাস হতে হয়, অবশ্য কারোর ভালো দক্ষতা থাকলে সে ক্ষেত্রে একাডেমিক যোগ্যতার কোনো প্রয়োজন হয় না। এ সব সুপারশপে অদক্ষ কর্মী নিয়োগ দেয়ার পর প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়। এখানে কাজ করার জন্য যে সব বিষয়ে নজর দেয়া হয় তা হল পরিশ্রম, ধৈর্য, আচার-ব্যবহার, ব্যবস্থাপনায় দক্ষতা ও ক্রেতাকে আকৃষ্ট করার ক্ষমতা। যেহেতু এখানে বিভিন্ন ধরনের ক্রেতা সমাগম ঘটে, তাই কর্মীদের হতে হয় ডায়নামিক।   আবেদনের নিয়ম: আবেদন করতে হবে রমজানের আগেই। প্রত্যেক প্রতিষ্ঠানের কর্পোরেট অফিসে সিভি জমা নেয়া হয়। পাশাপাশি প্রয়োজন অনুযায়ী আউটলেটেও সিভি জমা দেয়া যায়। সিভি দেখে বাছাইয়ের জন্য সাক্ষাৎকার নেয়া হয়। বিভিন্ন সুপারশপের কর্মরত সেলস এক্সিকিউটিভদের সঙ্গে আলোচনায় জানা গেছে, সাক্ষাৎকারের সময় প্রার্থীর স্মার্টনেস, ধৈর্য, সহনশীলতা, বাচনভঙ্গি ইত্যাদি দেখা হয়। বিভিন্ন পরিস্থিতিতে ক্রেতার সঙ্গে আচরণ কেমন হবে, এ বিষয়েও জানতে চাওয়া হতে পারে। ইংরেজি ভালো জানা থাকলে চাকরি পাওয়া আরও বেশি সহজ হয়।   আয় রোজগার: চুক্তির মাধ্যমে নিয়োগ দেয়া হয় এক মাসের জন্য। তাই বেতনও দেয়া হয় মাস হিসেবে। প্রতিষ্ঠানভেদে সাধারণত আট হাজার থেকে ১৫ হাজার টাকা ও তারও বেশি বেতন পাওয়া যায়। রমজান মাসে চাকরি, তাই প্রতিদিন ইফতারির ব্যবস্থা করা হয়। অনেক রাত পর্যন্ত কর্মস্থলে থাকতে হলে রাতের খাবার বা টাকা দেয়ার ব্যবস্থা তো থাকছেই। যাদের লক্ষ্য আছে এ সুপারশপগুলোতে এক মাসের চুক্তিতে কাজ করার, তারা আর বসে না থেকে এখনই যোগাযোগ করুন ওই সব সুপারশপে। আর নিজের স্মার্টনেস, ধৈর্য, সহনশীলতা, বাচনভঙ্গির যোগ্যতা প্রমাণ করে বুঝে নিন আপনার খণ্ডকালীন চাকরি। আর তার সঙ্গে এক মাসে ভালো ও স্মার্ট আয় করার সুযোগ তো থাকছেই। Source:স্টাডি এন্ড জবস ২৪ ডটকম

আপনার মতামত দিন:

(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য কর্তৃপক্ষ দায়ী নন।)