ইতিহাসের পাতা থেকে

মনে পরে গাদ্দাফির কথা

মনে পরে গাদ্দাফির কথা
21846 মনে পরে গাদ্দাফির কথা।লিবিয়ায় ৪১ বছর ধরে জনগণের রক্তচোষা সেই স্বৈরশাসক মুয়াম্মার গাদ্দাফি।কি বিলাসবহুল ছিল তার জীবন!সকল ক্ষমতার অধিকারী ছিল সে।সবকিছু ছিল তার অধীনে।আইন ব্যবস্থা,শাসন ব্যবস্থা,রাষ্ট্রব্যবস্থা,প্রশাসন সবকিছু ছিল তার মুষ্ঠীবদ্ধ।তার এই টানা স্বৈরতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থায় হাঁপিয়ে ওঠে লিবিয়ার জনগণ।স্বৈরাচারী শাসক মুয়াম্মার গাদ্দাফির অত্যাচার,দুঃশাসন আর দুর্নীতিতে অতীষ্ঠ হয়ে ওঠে লিবীয় জনগণ।শুরু হয় সরকার বিরোধী আন্দোলন।নিজেদের স্বাধীনতা ও গণতান্ত্রিক অধিকারের জন্য শুরু হয় লড়াই।গাদ্দাফির অন্যায় শাসন থেকে মুক্তি চাচ্ছিল লিবীয় জনগণ।এটা ছিল তাদের অস্তিত্বের লড়াই।   এরপর গাদ্দাফির অবস্থা কি হল তা সবারই জানা।প্রশাসনকে ঢাল বানিয়ে চলা গাদ্দাফি জনগণের আন্দোলনকারীদের তোপের মুখে পরে শেষ পর্যন্ত পালিয়েও রক্ষা পেল না।বিদ্রোহীদের গুলি তাকে ঝাঝড়া করে দিলো।তবে গাদ্দাফির মৃত্যু একটা রহস্যই বটে।ঠিক কি ভাবে যে তার মৃত্যু হয়েছিল তা বলা মুশকিল।কোনো রিপোর্টে উল্লেখ করা হয় মাথায় গুলি লেগে,কেউ বলেছেন তার পেটে গুলি করা হয়।বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয় বিদ্রোহীরা তার শরীরে অসংখ্য গুলি করে।শুধু কি গুলি?গাদ্দাফির বিভৎস লাশের চিত্র তো আরো অনেক কিছু বর্ণনা করে।মৃত্যুর পর তার লাশ নিয়ে ব্যাপক টানা হেঁচড়া করা হয়; আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এবং তার লাশে টানা-হেঁচড়ার আলামতও পাওয়া যায়।   নিজেকে সকল ক্ষমতার অধিকারী মনে করা এসব শাসক ভুলেই যায় উপরে কেউ আছেন যিনি সব দেখছেন।যিনি প্রকৃত পক্ষে সকল ক্ষমতার অধিকারী,সবকিছুর উপর কর্তৃত্বশীল।অনেক স্বৈরশাসকের এমন করুণ পরিণতি আমরা দেখেছি কিংবা ইতিহাসে পড়েছি।ইতিহাসের নিজস্ব একটা নিয়ম আছে আর সেটা হলো ইতিহাস তার নিজেকে পুনরাবৃত্ত করে।এ সবকিছুই আমাদের জন্য শিক্ষণীয় বিশেষ করে শাসকগোষ্ঠীর জন্যে।বুদ্ধিমানদের জন্যই আল্লাহ যুগে যুগে এমন দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন। আল্লাহ মালিক।তিনি সকল ক্ষমতার অধিকারী।

আপনার মতামত দিন:

(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য কর্তৃপক্ষ দায়ী নন।)
লেখকের অন্যান্য ব্লগ সবগুলো দেখুন
মেইক ইউরসেলফ

মেইক ইউরসেলফ

নাজিবা

১৩ ডিসেম্বার ২০১৪