মেইক ইউরসেল্ফ (রুপচর্চা,পারসোনালিটি,ক্যারিয়ার,স্বাস্থ্য)

প্লাস্টিকের পানির বোতলটি পুনরায় ব্যবহারের আগে জেনে নিন

প্লাস্টিকের পানির বোতলটি পুনরায় ব্যবহারের আগে জেনে নিন
পানির একটি প্লাস্টিক বোতল প্রতিদিনই পানি খাওয়ার কাজে ব্যবহার করেন। এটা বেশ ভালো বিষয় যে, আপনি পানি খাওয়ার বিষয়ে সচেতন। তবে প্রয়োজনীয় প্রশ্নটি হলো, শেষ কবে বোতলটি ধুয়েছেন?  প্লাস্টিকের পানির বোতলটি পুনরায় ব্যবহারের আগে জেনে নিন
  প্রশ্নটি মনে নাও আসতে পারে। কারণ এতে তো প্রতিদিন পানিই ভরা হয়। সমস্যা হলো, পানির যে বোতল বাজারে পাওয়া যা সেগুলো সবই ডিসপোজেবল বোতল। ২০০৭ সালে 'প্র্যাকটিক্যাল গ্যাস্টোএন্টারোলজি' জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণায় দেখা যায়, এসব ডিসপোজেবল বোতল একবারের বেশি ব্যবহার করা যায় না। কারণ, প্রতিদিন পানি ভরা এবং ব্যবহারের ফলে এসব বোতলের প্লাস্টিকের আস্তর নষ্ট হয়ে যায়। এর ত্বকে সূক্ষ্ম ফাটল ধরে। এতে ব্যাকটেরিয়া বাসা বাঁধতে পারে। প্রতিদিন ভালো করে না ধোয়া হলে ব্যাকটেরিয়া থেকেই যাবে। কাজেই তা হতে পারে স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ। এমনকি যে সব প্লাস্টিক বোতল পুনরায় ব্যবহারযোগ্য, তাতেও ব্যাকটেরিয়াসহ স্বাস্থ্যহানির নানা আশঙ্কা তৈরি হয়।    ২০০২ সালে ইউনিভার্সিটি অব ক্যালগেরির এক দল গবেষকের একটি গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশিত হয় ক্যাডাডিয়ান জার্নাল অব পাবলিক হেলথ-এ। তাতে বলা হয়, শিক্ষার্থীদের এমন ৭৬ বোতল স্যাম্পল নেওয়া হয়। এদের কোনোটিই প্রতিদিন ভালো করে ধোওয়া হয়নি। দেখা যায়, বোতলগুলোর দুই-তৃতীয়াংশে যে পরিমাণ ব্যাকটেরিয়া জমেছে তা স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকি। তবে এসব জীবাণুর উৎস সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া না গেলেও ধারণা করা হয়, শিক্ষার্থীদের হাত থেকেই তা এসেছে। এক গবেষক ক্যাথি রায়ান বলেন, ভেজা এবং সঠিক তাপমাত্রায় এসব ব্যাকটেরিয়া বেড়ে ওঠে এবং পানির বোতলে সেই পরিবেশ পাওয়া যায়। এসব ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণে ডায়রিয়া, বমিসহ নানা উপসর্গ দেখা দেয়। কাজেই এসব প্লাস্টিক বোতলকে ব্যাকটেরিয়ামুক্ত করতে হলে এদের প্রতিদিন ১২০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় গরম পানিতে ধুতে হবে। তাই সাবধাণতার জন্য কাঁচের বোতল ব্যবহার করতে বলেছেন বিজ্ঞানীরা। অথবা প্লাস্টিক বোতল ব্যবহার করলে তা মাঝে মধ্যে বদলে ফেলা উচিত। - See more at: https://www.deshebideshe.com/news/details/38891#sthash.ipwdWuWl.dpuf

আপনার মতামত দিন:

(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য কর্তৃপক্ষ দায়ী নন।)