ধর্ম ও গবেষনা

রমাদান-প্ল্যানিং এন্ড প্রিপারেশন

রমাদান-প্ল্যানিং এন্ড প্রিপারেশন
ramadan আসসালামু আলাইকুম? কেমন আছেন আপনারা আপু ও ভাইয়ারা? আশা করি আল্লাহ সুবহানাহু তায়ালা আমাদের সবাইকে সুস্থ রেখেছেন। ইমান ও আমল এর পরিচর্যায় ব্যস্ত রেখেছেন! একটা ছোট প্রশ্ন করি? ক্যালন্ডারের পৃষ্ঠা না উল্টিয়ে বলুন তো আজ আরবি কোন মাসের কত তারিখ কত হিজরি? আপনি জানেন এটাই পরম পাওয়া! আলহামদুলিল্লাহ! সময়ের চাকা ঘুরে আমরা শাবান মাস এ আপতিত হয়েছি। এ মাস আরবি মাসের ৮ম মাস। এ মাসটির পরেই আসে সন্মানিত রমাদান মাস! আর রমাদান তো এমন মাস যে মাস আমাদের সামনে আসে অফুরন্ত সম্ভাবনা, কল্যানের দরজা উন্মুক্ত করে, অগুনতি সওয়াবের মৌসুম নিয়ে। বছর ঘুরে আমাদের সামনে অতি আকাংখিত সন্মানিত মেহমান রমাদান সমাগত প্রায়! রমাদান এমন এক মেহমান যার আগমনে সমস্ত আসমান ও যমিনে সাড়া পড়ে যায়, সমস্ত মুমিনের অন্তরে আনন্দের ঢেউ বয়ে যায়!এই মেহমান বছরে একটি বারই আমাদের কাছে আসে এবং খুব অল্প সময়ের জন্য আমাদের মাঝে অবস্থান করে! তো এই রমাদান নামক সন্মানিত অতিথির সন্মান ও আতিথিয়তার হক আদায় করার জন্য যথাযথ মর্যাদা রক্ষা জন্য আমাদের প্রত্যেকের সাধ্যমত চেষ্টা ও সাধনা করা উচিত। আমরা তো প্রত্যকেই কিছু না কিছুর জন্য অপেক্ষা করি বা করতে দেখি! স্ত্রী তার প্রিয়তমের জন্য অপেক্ষা করেন, পিতামাতা সন্তানের জন্য অপেক্ষা করেন, বোন ভাইয়ের জন্য অপেক্ষা করেন, ছাত্র ছাত্রী তাদের রেজাল্টের জন্য অপেক্ষা করেন, কেউ করেন ওয়ার্ল্ড কাপের অপেক্ষা কেউ বা করেন ক্রিকেট টুর্নামেন্ট এর অপেক্ষা! আল্লাহ সুবহানাহু তায়ালা আমাদের যাদের ইমানের মত নিয়ামত দিয়েছেন, হায়াতে বাঁচিয়ে রেখেছেন, সুস্থতা দান করেছেন আমাদের প্রত্যেকের কি উচিত নয় যে , আমরা দুনিয়া ও আখিরাতে কল্যানকামি হতে পারি , জাহান্নাম থেকে বেঁচে জান্নাতে প্রবেশ করতে পারি, আল্লাহর নৈকট্য অর্জন করতে পারি, আল্লাহর দিদার লাভ করতে পারি এমন এক আমলের, এমন এক মাসের সুবর্ন সুযোগের জন্য অপেক্ষা করা? আমরা যেহেতু এখনো শাবান মাসে আছি এ মাসকে বলতে পারি রমাদানের প্রস্তুতি মূলক মাস! শাবান মাস আমাদের উত্তম আমলের বীজ বপনের মাস। আমরা এ মাস থেকেই মেহনত শুরু করব, প্রস্তুতি গ্রহণ করব, পরিকল্পনা নিব ইনশাআল্লাহ! রমাদান মাস থেকে যে যতবেশি ফায়দা অর্জন করতে চাই, ইবাদতের মাধ্যমে আমলগুলোকে সমৃদ্ধশালী করতে চাই, উপযুক্ত ও যথাযথ হক আদায় করতে চাই আমাদের ঠিক তত বেশি প্রস্তুতি গ্রহন করা প্রয়োজন ! রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম শাবান মাস থেকেই প্রস্তুতি গ্রহন করা শুরু করতেন। সাহাবি রাদিয়াল্লাহু আনহু ও সালফে সালেহিনগন এর ব্যতিক্রম ছিলেন না! উনারা রমাদান আসার ৬ মাস আগে থেকেই রমাদানের জন্য দোআ করতেন যেন আল্লাহ সুবহানাহু তায়ালা উনাদের রমাদান পর্যন্ত পৌছিয়ে দেন, উনারা রমাদানের শুভাগমনে আনন্দে কান্না করতেন আর রমাদান শেষ হয়ে গেলে রমাদানে করা দোআ, কিয়াম আর সিয়াম যেন কবুল করা নেয়া হয় এই জন্য পেরেশানি হয়ে আরো বেশি দোআ করতেন , রমাদানের বিদায়ে বিরহে ব্যথায় উনারা কান্না করতেন! আজ আমাদের কি অবস্থা? আমাদের আদর্শ যাদেরকে ঘিরে আবর্তিত হওয়ার কথা হতে কি পেরেছি আমরা তাদের মতন? আসুন শাবান মাসের গুরুত্বপূর্ন কিছু হাদিস জেনে নেই যা থেকে আমারা রাসুল সা এর গুরত্বপূর্ন সুন্নাহ সম্পর্কে ধারনা লাভ করতে পারি! আয়েশা (রা.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন: রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন (নফল) রোযা রাখতে শুরু করতেন তখন আমরা বলতাম যে তিনি রোযা রাখা আর বাদ দিবেন না। আবার যখন রোযা বাদ দিতেন তখন আমরা বলতাম তিনি আর রোযা করবেন না। তবে তাঁকে রামাযান ছাড়া পরিপূর্ণভাবে অন্য কোন মাসে রোযা রাখতে দেখিনি এবং শাবান মাসের চেয়ে অন্য কোন মাসে এত বেশি রোযা রাখতে দেখিনি । (বুখারি, মুসলিম) অর্থাৎ রাসুল সা শাবান মাসে খুব নফল সিয়াম করতেন, এটা শাবানের শুরু থেকেই তিনি শুরু করতেন! উসামা বিন যায়দ (রা.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে জিজ্ঞেস করলাম, হে আল্লাহর রাসূল, আপনাকে শাবান মাসে যে পরিমান রোযা পালন করতে দেখি অন্য মাসে তা দেখি না। এর কারণ কী? তিনি বললেন: “রজব এবং রামাযানে মধ্যবর্তী এ মাসটি সম্পর্কে মানুষ উদাসিন থাকে। অথচ এটি এত গুরুত্বপূর্ণ মাস যে, এ মাসে আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের দরবারে মানুষের আমল সমূহ উঠিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। আমি চাই রোযা অবস্থায় আমার আমল উঠানো হোক। ( মুসনাদ আহমাদ, সুনান নাসাঈ, ) অর্থাৎ শাবান মাসকে এভাবে গ্রহন করতে পারি এই মাসে আল্লাহ সুবহানাহু তায়ালা মানুসের জীবনের বিগত মাসগুলোর আমলের হিসাব গ্রহন করেন, তাই যেখানে রাসুল সা: নিজে সিয়াম পালনের মাধ্যমে উনার আমলগুলোকে সৌন্দর্যমন্ডিত করতেন সেখানে আমাদের করনীয় কি আরও বেশি নয়? আবু সালামা রা. হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি আয়েশা (রা.) কে বলতে শুনেছি, আমার রামাযানের কিছু রোযা বাকি থাকত। সেগুলো আমি শাবান ছাড়া কাযা করতে পারতাম না। অর্থাৎ আয়েশা (রাHappy গত রমাযানের ছুটে যাওয়া ফরজ রোযাগুলো শাবান মাসে কাযা করতেন।( সুনান ইব্‌ন মাজাহ।) আমাদের মহিলাদের মিস হয়ে যাওয়া বা ছুটে যাওয়া সিয়াম গুলো আদায় করার শেষ সময় হল শাবান মাস! এর মধ্যেই আদায় করার চেস্টা করা উচিত। এখন এই শাবান মাসে আমরা কিভাবে এবং কোন ধরনের প্রস্তুতি গ্রহনের মাধ্যমে অধিক লাভবান হতে পারি? এই প্রস্তুতিগুলোকে আমরা তিনটি ভাগে ভাগ করতে পারি! যেমন- ১)ব্যক্তিগত প্রস্তুতি, ২)পারিবারিক প্রস্তুতিএবং ৩)সামাজিক প্রস্তুতি। # ব্যক্তিগত প্রস্তুতিঃ ১) আমি এই রমাদান থেকে সর্বচ্চ ফায়দা বা লাভবান হতে চাইলে আমাকেই সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালাতে হবে, আর সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা ছাড়া তা অর্জন করা সম্ভব নয়। বিজ্ঞ জনেরা পরিকল্পনাকে আয়নার সাথে তুলনা করেছেন! সুতরাং আমি আমাকে আয়ানাতে যত সুন্দর দেখতে পছন্দ করি আমার পরিকল্পনাটি যেন সেরকম সুন্দর হয়। প্রথমেই নিয়ত সহিহ করি, ইখলাসের সাথে আল্লাহর কাছে সাহায্য চাই, দোআ করি তিনি যেন আমাকে সাহয্য করেন যথাযথ পরিকল্পনা গ্রহণে, বস্তবায়নে এবং আমলের মাধ্যমে শুধু তার সান্নিধ্য অর্জনে! ২) আমি কি বিশুদ্ধ ভাবে কোরআন পড়তে পারি? আগে থেকেই শুদ্ধ করে পড়ার অভ্যাস করা, তিলাওয়াত সহিহ করার জন্য তাজউইদ এর জ্ঞান অর্জন করা, বারবার তা চর্চা করা! প্রয়োজনে কারো সাহায্য নেয়া। আমার কি রমাদানে কোরআন খতম করার পরিকল্পনা আছে? এখনি সিদ্ধান্ত নেই ! প্রতি ওয়াক্ত সালাতে মাত্র ৪ পৃষ্ঠা তিলাওয়াত করলে ৩০ দিনে খতম করা সম্ভব। ৩) আমার কয়টি সুরা মুখস্থ আছে? সেগুলো সহিহ করা! আমি কি চেষ্টা করলে আরও কিছু সুরা মুখস্থ করতে পারব? যা আমাকে রমাদানে কিয়ামুল লাইলের জন্য খুশু আনয়নে সহায়তা করবে? ৪) রমাদানের সিয়ামের গুরুত্ব অনুধাবন, উৎসাহ এবং উদ্দিপনা সহ সিয়াম সাধনার জন্য বিশুদ্ধ হাদিস গ্রন্থ সমূহ থেকে কিতাবুস সাওম অধ্যায় পড়ে নেয়া এবং ভুল ত্রুটি থেকে দূরে থাকার জন্য মাসায়িল গুলো মনে রাখার জন্য ফিকহুস সিয়াম পড়ে নেয়া প্রয়জন। ( আমি ফিকহুস সিয়াম- রোযার বিধান ও মাসায়েল- সংকলক মুহাম্মদ নাসীল শাহরুখ ও সম্পাদনা ডঃ মানজুরে ইলাহি -বইটি ফলো করি) ৫) বাসার প্রয়োজনীয় জরুরি কাজ গুলো আগেই সেরে নেয়া যেমন -আলমারির কাপড় গুছানো, বাসার অতিরিক্ত শ্রমসাদ্ধ কাজগুলো করে ফেলা , রান্নাঘরের খুঁটিনাটি ধোঁয়া মোছা, অন্তত সমস্ত বাসা একবার নিঁখুত ভাবে পরিস্কার করে নেয়া! ৬) রমাদান মাসের প্রয়োজনীয় বাজার এবং ঈদ পরবর্তি শুকনো ভারি বাজার গুলো আগেই লিস্ট করে তা সেরে নেয়া । যেন সিয়াম পালন করে বাজারে গিয়ে সময় নষ্ট ও কষ্ট না হয়। ৭) সেহরি ও ইফতার এ সাস্থ্য সম্মত খাবার মেনু তৈরী করা , প্রয়োজনে কিছু ইফতারের আয়জন ফ্রিজিং করা! এতে পরে সময়ের অপচয় কম হবে। ৮) বাবা, মা, নিজ পরিবারের অন্তর্ভুক্ত প্রতিটি আত্নিয়স্বজনদের সাথে রমাদানের আগেই অন্তত টেলিফোনে যোগাযোগ রক্ষা করা। তাদের সুবিধা অসুবিধাগুলো জানা, তাদের নিকট দোআ চাওয়া। ৯) এই রমাদানে আমি কি পরিমানে ইনফাক বা সাদাকা করব তা নির্ধারন করা। বাজেট করা কোন কোন খাতে আমি ব্যয় করলে বেশি সওয়াব অর্জন করতে পারব? গরিব আত্নিয়স্বজনদের , গরিব প্রতিবেশিদের, এতিমদের, মসজিদে, ইফতার ও সাহরিতে শরিক থাকার চেস্টা করা। ১০) দোআ করা। আমাদের মাঝে এমন কে না আছে যার কোন চাওয়া পাওয়া নেই? আমাদের প্রত্যেকের জীবন কোন না কোন ভাবে দুখ, দুর্দশা, চাওয়া পাওয়ার অভাব রয়েছে। আমাদের প্রত্যেকের জীবনেই রয়েছে অবাধ্যতা আর গুনাহের পাহাড়! আর এসব কিছু থেকে মুক্তির জন্য আমরা আল্লাহর কাছেই মুখাপেক্ষি! আল্লাহ সুবহানাহু তায়ালা নিজেই আমাদের অসংখ্য দোআ শিখিয়ে দিয়েছেন, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি অয়াসাল্লামের সুন্নাহ থেকেও অনেক দোআ পাই! ঘুম থেকে উঠা থেকে ঘুমাতে যাওয়া পর্যন্ত যে আযকার, পাঁচ ওয়াক্ত সালাতের পর আযাকার, সকাল সন্ধার আযকার, অন্যান্য মাসনুন দোআ গুলো তো আছেই! কারন রমাদান মাস তো দুয়া কবুলের মাস! এখন থেকেই দোয়াগুলো মুখস্থ করি, বেশি বেশি পড়ি এবং কোন কোন বিষয় আল্লাহর নিকট চাই দোআ গুলোর একটা লিস্ট করতে পারি। প্রত্যেক সালাতের পর সুন্নাহের আলোকে আযকার গুলো আদায় করতে আর সচেষ্ট হই। নতুন চাঁদ দেখার দোআটা মনে আছে তো আপু ভাইয়ারা? দেখে নিন এবং অপেক্ষা করুন রমাদানের চাঁদ দেখার অপেক্ষায়! পড়ে নিই দোআটি আর আল্লাহর কাছে সাহায্য তো চাইবই ইনশা আল্লাহ! হযরত তালহা বিন ওবাইদুল্লাহ্ হতে বর্ণিত, হযরত নবী করীম-সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন নতুন চাঁদ দেখতেন, বলতেন:اللَّهُ أَكْبَرُ، اللَّهُمَّ أَهِلَّهُ عَلَيْنَا بِالْأَمْنِ وَالْإِيمَانِ، وَالسَّلاَمَةِ وَالْإِسْلاَمِ، وَالتَّوْفِيقِ لِمَا تُحِبُّ رَبَّنَا وَتَرْضَى، رَبُّنَا وَرَبُّكَ اللَّهُ». ‘আল্লাহুম্মা আহিল্লাহু আলাইনা বিল্ আম্নে ওয়াল ঈমান, ওয়াস্ সালামতে ওয়াল ইসলাম, রাব্বি ওয়া রাব্বুকাল্লাহ্’ অর্থ হে আল্লাহ্! তুমি এই চাঁদকে উদিত কর আমাদের প্রতি নিরাপত্তা, ঈমান, শান্তি ও ইসলাম সহকারে। (হে চাঁদ!) আমার প্রভু ও তোমার প্রভু (এক) আল্লাহ্।(মিশকাত) ( আমি হিসনুল মুসলিম( সাইয়েদ ইবন আলি আল কাহতানি) ও আযকারে মাসনুনাহ( ইমাম ইবনুল কায়্যিম) অনুসরন করি আলহামদুলিল্লাহ।) #পারিবারিক প্রস্তুতি- ১) পারিবারিক মিটিং এর মাধ্যমে রমাদানের মহাত্ন্য , ফাজায়েল ও করনীয় কি সেটা আলোচনার মাধ্যমে পরিবারের সবাইকে প্রস্তুতি গ্রহনে সাহায্য করা। ২) পরিবারের ছোট বড় সবাইকে নিজ নিজ প্রস্তুতি বলা ও তাদেরকেও প্রস্তুতি গ্রহনে সাহায্য করা। ৩) পরিবারের সবাই মিলে কাজ গুলো ভাগ করে নেয়া, একে অপরকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়া। #সামাজিক প্রস্তুতি- ১) নিজ প্রতিবেশিদের খোঁজ নেয়া, তাদের সাথে রমাদানের প্রস্তুতি মূলক আলচনা করে তাদের কেও সহায়তা করা। ২) স্থানিয় মসজিদ গুলোতে রমাদান কেন্দ্রিক কি আয়জন ও পরিকল্পনা রয়েছে তা জানা এবং প্রয়োজনীয় সাহায্য নিয়ে এগিয়ে আসা ।মসজিদে যারা ইতিকাফে বসবেন তা জেনে নেয়া, প্রয়োজনীয় সহায়তায় এগিয়ে আসা! ৩) রমাদানের পুর্বেই হালাকার মাধ্যমে রমাদান বিষয়ক আলচনা করা, নারী ও পুরুষরা যার যার অংগনে বা পরিসরে করতে পারেন, সুযোগ থাকলে পর্দার পরিবেশ তৈরি করে যৌথ ভাবেও করা যায়। ৪) সকলে মিলে সমাজের অবহেলিত, অনাহারী মানুষগুলোর জন্য সেহরি ও ইফতারের ব্যবস্থা বা উদ্যগ গ্রহন করা, একে অপরকে উতসাহিত করা। ( এটা আমাদের বোনদের হালাকায় " রমাদান প্ল্যানিং এন্ড প্রিপারেশন" টপিকে আলোচনা হয়েছিল শাবান মাসের শুরুতেই! ব্যস্ততায় অনলাইন জগতে আসা হচ্ছিলো না তাই একটু দেরি হয়ে গেল! আশা করি বিজ্ঞ ভাই বোনগন আপানারাও আপানাদের পরিকল্পনা শেয়ার করবেন তাতে আমরা সকলেই উপকৃত হতে পারব ইনশা আল্লাহ) মূল লেখিকা- বোন হালিমা সাদিয়া।

আপনার মতামত দিন:

(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য কর্তৃপক্ষ দায়ী নন।)