মেইক ইউরসেল্ফ (রুপচর্চা,পারসোনালিটি,ক্যারিয়ার,স্বাস্থ্য)

অতিরিক্ত প্রোটিন খাচ্ছেন কি? তিনটি লক্ষণে বুঝে নিন

অতিরিক্ত প্রোটিন খাচ্ছেন কি? তিনটি লক্ষণে বুঝে নিন
    নানা খাবারে বাড়তি প্রোটিন যোগ করা এখনকার খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর ফ্যাশন হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে একজন মানুষের দৈনিক তার শরীরের প্রতি কেজি ওজনের জন্য দশমিক আট গ্রাম প্রোটিন দরকার হয়। আপনার শরীরে এর বেশি প্রোটিনের প্রয়োজন নেই। বরং তা বেশি মাত্রায় গ্রহণ করলে শরীরের ক্ষতি হতে পারে। এ লেখায় দেওয়া তিনটি লক্ষণ থেকে মিলিয়ে নিন, আপনার শরীর প্রয়োজনের চেয়ে বেশি প্রোটিন গ্রহণ করছে কি না। এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে হাফিংটন পোস্ট। ১. আপনার ওজন বাড়ছে: যদি আপনার দেহে ক্যালরি গ্রহণের পরিমাণ না কমিয়ে প্রোটিন গ্রহণ বেড়ে যায়, তাহলে দেহের ওজন বেড়ে যেতে পারে। ২০১২ সালের এক গবেষণায় দেখা যায়, উচ্চ প্রোটিনযুক্ত খাবার গ্রহণকারীরা নিম্ন প্রোটিন ও উচ্চ চর্বিযুক্ত খাবারের মতোই প্রভাবের সম্মুখীন হন। যার অর্থ দাঁড়ায় অতিরিক্ত প্রোটিন শরীরের ওজন বাড়াতে ভূমিকা রাখে। ২. কিডনি সমস্যা: আপনার কিডনি দেহের বর্জ্য পদার্থ নিষ্কাশন করে। দেহ প্রোটিন হজম করার নানা পর্যায়ে উৎপাদিত বর্জ্য পদার্থ নিষ্কাশন করে কিডনি।আর অতিরিক্ত প্রোটিন গ্রহণ করা হলে তা কিডনির জন্য অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করে। ২০০৩ সালের এক গবেষণায় দেখা গেছে, কিডনি রোগের প্রাথমিক পর্যায়ে এ ক্ষতি দৃশ্যমান হয়। আর কিডনির এ ক্ষতির কথা অনেকে সময়মতো জানতেও পারেন না। ৩. পানিশূন্যতা: কিডনির কার্যক্রমের ফলে রক্তের ইউরিয়া নাইট্রোজেন ফিল্টার হয়ে যায়। গবেষক ও চিকিৎসকরা এজন্য রক্তের ইউরিয়া নাইট্রোজেনের মাত্রা পর্যবেক্ষণ করে কিডনির কার্যক্রম পরীক্ষা করতে পারেন।   এর মাধ্যমে জানা যায়, প্রত্যেকের শরীরের জলীয় অংশ কতোখানি রয়েছে। ২০০২ সালের এক গবেষণায় দেখা গেছে, প্রোটিন গ্রহণ বেড়ে গেলে দেহের জলীয় অংশ কমে যায়। এর কারণ অতিরিক্ত নাইট্রোজেন দেহ থেকে বের করার জন্য শরীর থেকে বেশি পানি নিঃস্বরণ করতে হয়। সুত্রঃ কালের কণ্ঠ।

আপনার মতামত দিন:

(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য কর্তৃপক্ষ দায়ী নন।)