ফিল্ম ও মিডিয়া
কিশোর-কিশোরীদের জন্য বিপজ্জনক ৫টি অ্যাপস
স্মার্টফোনের অ্যাপও যে ক্ষেত্র বিশেষে সন্তানদের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে, সোস্যাল মিডিয়া বিশেষজ্ঞ ‘ক্রিস্টিন পিকস’ সম্প্রতি তার ব্লগে গুরুত্বপূর্ণ সেই ব্যাপারটাই তুলে ধরেছেন। বাছাই করা গুরত্বপূর্ণ ও ভয়ংকর ৫টি অ্যাপ নিয়ে লিখেছেন তিনি।
প্রযুক্তির কল্যানে স্মার্টফোন এখন সবার হাতে হাতেই। আর এই স্মার্টফোন জুড়েই রয়েছে লাখো অ্যাপস। শিক্ষিত ও সচেতন ব্যক্তিগন তাদের প্রয়োজনেই স্মার্টফোনে নান ধরনের অ্যাপস ব্যবহার করে থাকেন। পরিবারের শিশু বা কিশোর সন্তানরাও এখন বিনোদনের জন্য বেছে নিয়েছে স্মার্টডিভাসেই অ্যাপস গুলোকে। অথচ, এমনও অনেক অ্যাপস রয়েছে যা ব্যবহার খুবই ভয়ংকর ও ক্ষতিকর হয়ে উঠতে পারে আপনার সন্তানের জন্য। তার মধ্যে বাছাই করা ৫টি অ্যাপস নিয়েই আলোচনা করেছেন ক্রিস্টিন পিকস। তিনি তার অভিজ্ঞতার আলোকে সন্তানদের বাবা মাকে সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।
1) ইক ইয়াক (Yik Yak):
বিপদজনক অ্যাপগুলোর মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ। অ্যাপটি ব্যবহারকারীকে সর্বোচ্চ ২০০ ক্যারেক্টারের বার্তা (ইয়াক) পাঠাতে অনুমোদন দেয়। জিপিএস ট্র্যাকিং এর মাধ্যমে সেই বার্তা নিকটবর্তী ৫০০ জন ব্যবহারকারীর (ইয়াকার) ডিভাইসে পৌছে যায়। এখানে বিপদটি হচ্ছে, কিছু অসৎ ব্যবহারকারীরা অ্যাডাল্ট কনটেন্ট, অশোভন ও গালিগালাজপূর্ণ বার্তা পাঠিয়ে থাকে। যেহেতু নিকটবর্তী ৫০০ জন ব্যবহারকারীর কাছে এই বার্তা পৌছে যায়, সুতরাং শিশু কিশোররাও এর বাইরে নয়।
2) স্ন্যাপচ্যাট (SnapChat):
এই অ্যাপের সাহায্যে ব্যবহারকারীরা নিজেদের মধ্যে ছবি পাঠাতে পারে যা ১০ সেকেন্ডের মধ্যে স্বয়ংক্রিয়ভাবে অদৃশ্য হয়ে যায়। “ছবিটি এসেছে” এমন নোটিফিকেশন পাওয়ার পর, ছবিটি খুলে দেখার জন্য ট্যাপ করার সাথে সাথে ১০ সেকেন্ডের একটি টাইমার চালু হয়। ১০ সেকেন্ড পর সেন্ডার এবং রিসিভার উভয় প্রান্তেই ছবিটি অদৃশ্য হয়ে যায়। এই অ্যাপের মাধ্যমে অ্যাডাল্ট ছবি আদান প্রদান হচ্ছে খুব বেশি। অ্যাপটি শিশু কিশোরদের নাগালের বাইরে রাখা উত্তম।
3) কিক ম্যাসেঞ্জার (KiK Messenger):
এটি একটি প্রাইভেট ম্যাসেজিং অ্যাপ এবং ১৮ বছর বয়সের কম বয়সীরা এই অ্যাপে খুব বেশি আকৃষ্ট। অ্যাপটির মাধ্যমে শিশু কিশোররা প্রাইভেট বার্তা পাঠাতে সক্ষম এবং কোন অবস্থাতেই বিষয়টি তাদের বাবা মা জানতে পারে না। কিক ম্যাসেঞ্জারে অপর প্রান্তের ব্যবহারকারী সম্পর্কে অবগত হওয়া খুবই কষ্টসাধ্য। এই সুযোগের সদ্বব্যবহার করছে দুঃষ্কৃতিকারীরা। অশোভন ও অ্যাডাল্ট কনটেন্ট সম্বলিত বার্তা পাঠাচ্ছে অ্যাপের মাধ্যমে এতে করে বখে যাচ্ছে উঠতি বয়সের কিশোর কিশোরীরা।
4) ওমেগল (Omegle):
আরেকটি ভয়াবহ অ্যাপ এটি। ২০০৮ সাল থেকে অ্যাপটি ব্যবহৃত হচ্ছে। ২০০৯ সালে এটায় যোগ করা হয় ভিডিও চ্যাট সুবিধা। ভিডিও চ্যাটের সময় আপনার নিজস্ব কোন আইডেন্টিটি থাকবে না, এবং অপর প্রান্তেও একই অবস্থা। ভিডিও তে দেখা যাবে “You” এবং “Stranger” এই দুই নাম। এই অ্যাপ ব্যাবহারের জন্য রেজিস্ট্রেশনও প্রয়োজন হয় না। ওমেগলের ফেসবুক পেইজে একটি লাইক দিলে সেই লাইক অনুসারে ম্যাচ করে আপনার চ্যাট পার্টনার নির্ধারণ করা হয়। শিশু কিশোরদের জন্য অ্যাপটি নিঃসন্দেহে বিপদজনক।
5) হুইসপার (Whisper):
এটা একধরনের মিটিং অ্যাপ যা ব্যবহারকারী কে তার গোপন কথা পোস্ট করতে উৎসাহিত করে। পোস্ট টিতে আপনার নাম দেখা যাবে না তবে আপনি কোন জায়গা থেকে পোস্ট করছেন সেটা দেখতে পাবে অপর প্রান্তের ব্যবহারকারী। এমনকি ১ মাইলের ভেতর কে পোস্ট করেছে সেটা সার্চ করাও সম্ভব। এই অ্যাপের মাধ্যমে অলাইন রিলেশনশীপের মত ঘটনা ঘটছে কিন্তু কেউ জানে না অপর প্রান্তের ব্যবহারকারী আসলে কে। ভয়াবহ খবর হচ্ছে এই অ্যাপের মাধ্যমে রিলেশন তৈরি করে ১২ বছর বয়সী এক মেয়েকে নির্যাতন করে ওয়াশিংটনের এক ব্যাক্তি। ঘটনাটি গত বছরের।
সুত্রঃ এসো ফ্রী কম্পিউটার শিখি
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য কর্তৃপক্ষ দায়ী নন।)