অনির্ধারিত

পুরোনো ডায়েরির পাতা থেকে

পুরোনো ডায়েরির পাতা থেকে
৯ মে, ০০ আর রাহিকুল মাখতুম পড়ছি। ওস্তাদজী বলেছিলেন, সীরাত গ্রন্থ পড়ার সময় রাসুলের আবেগ, তার সংলাপ, তার দোয়াগুলো না বুঝে পড়লে সীরাত পাঠের আসল মর্ম বুঝা যায় না। বইটা সত্যি দারুন। সবচে' বেশি টানছে রাসুলের ব্যক্তিত্ব। কী যেন এক অদ্ভূত অতল গভীরতা, তার কোনো থই খুজে পাই না, অথচ সেটা আমাকে ক্রমশঃ টেনে নিয়ে যায় এমন এক অপূর্ব সুন্দর জগতে, যেন আমি সবকিছু প্রত্যক্ষ করছি, যেন আমি সেখানেই আছিঃ ওইসব ঘটনা, শব্দ, রঙ, মরুময় প্রকৃতির ওই বিপ্লবী মানুষগুলোর সাথেই। আর তা, ঠিক ওদেরই মতন ঈমানের জন্য তৃষিত করে তুলছে আমাকে। আমি হয়ে উঠছি সার্বজনিন, ভালবাসায় পরিপূর্ণ এক অভিজাত সত্যনিষ্ঠ উম্মাহর উচচ-শির কেউ। যে কোনো ভালো লেখার পিউরিফায়িং সিস্টেম এটাই, এটাই হলো সাংগঠনিক না হওয়া সত্ত্বেও একজন লেখকের দেয়া ব্যক্তিপ্রশিক্ষণ। যা'ই হোক। কী যেন এক তৃষ্ণা আমাকে ক্রমেই উন্মুখ করে তুলছে। উদগ্রীব, আর প্রতিক্ষারত। কেউ সেটা মেটাতে পারছে না। কোনো মানুষেরই এতো গভির ভালবাসবার ক্ষমতা নেই, তাই সব সান্নিধ্য ছাপিয়ে আধিপত্যবাদী হয়ে উঠছে আমার নিঃসঙ্গতা। আমি দেখছি, কী এক দুঃখ আমার মনে স্তব্ধ হয়ে বসে আছে। এর কোনো সংজ্ঞা আমার জানা নেই। কী চায় এই মন ?- যেন নিজের প্রাণটাই আকুলি বিকুলি করছে পরম সত্য সেই সত্ত্বার নৈকট্যের লোভে। যদিও সংসারবিরাগী সূফী হওয়ার মত যোগ্যতা যেমন আমার নেই, তেমনি নেই ইচ্ছেও। অথচ সংসার ধর্ম কেন বিকর্ষন করে ? বুঝতে পারি যে, আমাদেরকে হতে হবে ভারসাম্যপূর্ণঃ আত্মিক, মানসিক, জৈবিক সর্বঅর্থেই। এটাই তো রাসুলের পথনির্দেশনা, আল্টিমেটলী আল্লাহর অভিপ্রায়।

আপনার মতামত দিন:

(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য কর্তৃপক্ষ দায়ী নন।)
লেখকের অন্যান্য ব্লগ সবগুলো দেখুন