অনির্ধারিত

ক্ষমা করো পরিমল দা!

ক্ষমা করো পরিমল দা!
ক্ষমা করো পরিমল দা! ছাত্ররা শিখবে আর শিক্ষকের দায়িত্ব হোল শিখানো। একজন শিক্ষা উদ্যোক্তা মানুষ হয়েও বোধ করি তা ভুলতে বসেছিলাম! ছোট ভাইবোন, ছাত্রছাত্রী এমনকি সমাজের সবাইকে শিখানোর ব্রতী নিয়ে চলছি বেশ ছোট বেলা থেকেই। নিজের অধ্যয়নই শেষ হয়নি তবুও। মাজে মধ্যেই গ্রামে ছুটে গিয়ে ঘটা করে কোন অনুষ্ঠান, সিম্পজিয়াম, সেমিনার, পাবলিক পাঠাগার প্রতিষ্ঠা, কোচিং সেন্টার এমনকি এ বয়সে একটি স্কুলও প্রতিষ্ঠা করেছি শুধুই সমাজকে জাগানোর জন্যই। কিন্তু কোই, কোথায় পারলাম তোমাদের মতো সাড়া জাগান সাহসী উদ্যোগ নিতে? হাজার বছরের ধর্মীয় শৃঙ্খলা আর শত বছরের লালিত সংস্কৃতির ধারক এ জাতির বাঘা বাঘা নেতা, শিক্ষাবিদ, বুদ্ধিজীবী, আলেম কেহই যা করতে পারেনি তোমরা তা পারলে বটে! আমি অবোধ বুজতে পারিনি। তোমাদের কতনা গালি দিয়েছি, প্রতীবাদ করেছি, শাস্তি চেয়েছি! অনেক সমালোচনার পরেও ২০১৪ শিক্ষা বর্ষ হতে “শারীরিক শিক্ষা” নামক বইটি পাঠ্য ভুক্ত হয়। সচেতনতার নামে যৌন উদ্দীপক এ বইটি শিক্ষকদের হাতে গেলেও তা শুধু রুটিনেই থাকে কিন্তু পড়ানোর মতো কুরুচিপূর্ণ যোগ্যতা এদেশের শিক্ষকদের নেই! ভাবছিলাম আগামী বছরেই এর একটা সুরাহা হবে। সাম্প্রতিক একটি রিপোর্ট তো তা বলেনা বরং আরও ভয়ঙ্কর ভাবে ভাবিয়ে তুলছে আমাদের। “নিজেকে জান” নামক আরও একটি বই বিতরণ চলছে উটটি বয়সী তরুন তরুণীদের ক্লাসে! বইটির আগা গোঁড়ায় এমন পরিমার্জিত পরিভাষা (!) শুনলে সাত বছরের শিশুটিরও ছটপটানি শুরু হবে এইভেবে যে, কবে শুরু হবে সে যোগ্যতা আমার! ওদিকে নিরানব্বই বছরের বুড়া বুড়িও নিশ্চয় লাফ দিয়ে উঠবে, সময় থাকতে আর দুই একটারে সঙ্গ দিতে! কি নাই বইটিতে? যা একটু বাকী ছিল “শারীরিক শিক্ষা” নামক বইটিতে, তার পুরাটাই দেয়া হোল এবার “নিজেকে জান” এর মাধ্যমে। এখন বুজতে পাচ্ছিরে দাদা তোমরাই যে ঠিক ছিলে! শিক্ষা সচেতনতার কত গুরুত্বপূর্ণ পাঠইনা তোমরা শিখাচ্ছিলে! বাড়তি কোন বেতন বোনাস ছাড়াই নিজেদের শ্রম কে পানি করে নিজ উদ্যোগে কত বড় দায়িত্বই না তোমরা নিয়েছিলে! থিউরিক্যালের চেয়ে যে প্রাকটিকাল সবাই ভালো বোঝে তা তোমরা মনে রাখলেও আমি গাধা তা ভুলেই গিয়েছিলাম! দেখো কি ক্ষুদ্র জ্ঞানের সাথেই না আমার বসবাস! ওহে পরিমল, জয়ধর, পান্না মাস্টার আর তোমাদের গংরা, জানিনা তোমরা কে কোন কারাগারে আজ অপেক্ষা করছ? আমি অনুজ বুজতে পারিনি তবে এখন বুজতে পাচ্ছি! ক্ষমা করে দিয়ো গো অগ্রজ বৃন্দ! কিছুই করতে পারলাম না তোমাদের জন্য! তবে হে অভয় দিতে পারি তোমাদের, আর বেশী দেরি নয় তোমাদের বিজয় অবশ্যম্ভাবী! তোমরা একটু আগ বাড়িয়ে প্রাকটিকেল শুরু করেছিলে তো এটাই মনে হয় ভুল, দেখনা সবে থিউরিকেল শুরু হয়েছে? আর একটু ধৈর্য ধরো অচিরেই প্রাকটিকেল ক্লাসের ব্যবস্থা হবে নিশ্চয়। আর তখন তোমরাই তো ডাক পাবে সরবাজ্ঞে। শুধু তাই নয়, প্রশিক্ষিত শিক্ষক শিক্ষিকা গড়ার জন্যও তোমাদের মতো দক্ষ প্রশিক্ষক কি আর একটিও হবে বল!

আপনার মতামত দিন:

(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য কর্তৃপক্ষ দায়ী নন।)
লেখকের অন্যান্য ব্লগ সবগুলো দেখুন