অপেক্ষা করতে করতে শেষ প্রহরে জানলাম,বড্ডো মিথ্যা সে প্রতীক্ষার মানে!হৃদয়ে বড্ডো কালো মেঘের আনাগোনা,প্রবলভাবে ভাসিয়ে নিয়ে যাবে চঞ্চল আবেগে,এতোকিছুর পরেও অপেক্ষা করা থামিয়ে উঠতে পারি না যে,বড্ডো আলসে লাগে দোল চেয়ারে গা এলিয়ে দেওয়ার মতোই।প্রচন্ড পিপাসার আর্তিতে অবশ হয়ে পড়তে থাকতে ইচ্ছে করে অনেকটা রাত!বৃষ্টিতে ভিজতে ইচ্ছে করে না তখন,পছন্দের কফি মগটায় এক চুমুক কফিতেও ঠোঁট রাখতেও নয়!কিচ্ছু না তাবত […]
রোজ ছাদে আসবে বলো?মন ভালো হয়ে যায় তাই না!এমন করে মাথার উপর খোলা আকাশ,বৃষ্টিদের ঝরে পড়া,বজ্রপাতের ভয় পাও বুঝি!তা একটু পাই বয় কি!দৌড়ে সিড়ির ঘরে লুকায়ে পড়বে!গোলাপের মিষ্টি গন্ধ এসে নাকে লাগছে তাই না!ইঁতিউঁতি কি খুঁজছো গোলাপের টব!মাধবীলতা ফুটেছে তারই সুরভি,কিচ্ছু খবর রাখো না তুমি!কি বললে আমি ডেলফিনিয়াম! বন-বাদাড়ে ঘোরা উদ্ভিদ।বেশ তো আমি নীলমণি লতা, এমন আষ্টেপৃষ্ঠে ধরবো,ছাড়াতে পারবে না!হি […]
তোমার সাথে কথা না বললে এতো হাঁশফাস লাগে কেন?অভ্যেস হয়ে গিয়েছিলো হৃদয়ের!এখনো যে কথা বলে চলেছি দিনরাত্রি, বাধ্য হচ্ছি তুমি আজ ধ্রুবতারা বলে!বিকেলের টি-টাইমে দু’কাপ চা নিয়ে বসি থাকি কেন?তোমার সাথে গল্প করতে করতে চা খেতে ভালোবেসে ফেলেছিলাম যে!অথচ কিছুকাল আগেও চায়ের মগ হাতে বাড়ান্দায় দাড়িয়ে আকাশ দেখতুম নিরিবিলি! তোমার সেই মগটার কথা মনে আছে?যার গায়ে লেখা ছিলো তোমার হাতের লেখা […]
তোমার ঠিকানা জানা নেই বলে কতো পথ হেঁটেছি,সেই পথে ঝরে পড়েছিলো কতো মাধবীলতার গোলাপী পাপড়িরা!সেই সুগন্ধি নাকে এসে লাগতেই তোমার উপস্থিতি ভেবে চঞ্চল হই…উদ্যানের এক কোনে পথের ধারে সেই বেঞ্চিতে বসি কখনো,চারপাশে লাল রংঙের ম্যাপল পাতারা যেন তোমার স্মৃতি বিছিয়ে আছে!সাদা আর অফ-হোয়াইট রংঙের গোলাপের তোড়াটা সেখানেই রেখে আসি!ফুলদানিতে রাখি কি করে বলো তো, তোমার প্রিয় রঙের ফুল তো বারবার […]
নিজেকে বিষন্ন এক ড্যানডেলিয়ন ফুল মনে হয়,পড়ন্ত বিকেলে যার পাপড়িরা দখিনা হাওয়ায় ঝরে যায়!জীবনের সোনাঝরা দিনগুলো এমনি করে হারিয়ে যায় অগোচরে,কখনো নিজেই বেদনার কালো স্মৃতি উড়িয়ে দেই,কখনো দূর পাহাড় হতে সুখেদের ভাসিয়ে নিয়ে আসি সমীরণে।ব্যস্ত-সমস্ত দিনে ক্লান্তিদের ভাসিয়ে দিয়েবৃষ্টিতে ভিজি!গুনগুন কবিতার ছন্দে দেনা-পাওনার কথা ভুলি বিনা-বিদ্বেষে!তুচ্ছ এ মরীচিকা জীবনে সুখী হওয়ার এই পথচলা!সবুজপ্রান্তে নগন্য এ ফুল জানে ঘৃনা বিস্বাদ জমিয়ে […]
জানালায় পড়ন্ত রোদের আলো আছড়ে পড়ছে ক্লান্ত হয়ে,অফ-হোয়াইট রঙের পর্দাটা দুলছে একটু একটু করে।মুনিয়া’র অভিমানী মনের পর্দা সরে এসে কেমন আকাশ সমান শূন্যতা এসে বসে পড়লো মনের মাঝে।কার উপর অভিমান করেছে মিষ্টি মেয়েটা!বর অফিস থেকে তাড়াতাড়ি আসবে বলে এখনো একবার ফোন করলো না বলে!নাকি প্রিয় বান্ধবী একবার টেক্সট করেনি বলে!নাকি ননদিনীর সাথে খু…শুটি করে,মান-অভিমান!নাকি প্রিয় ইউনি’ […]
সামনে অদূরে একটা মসজিদ মিনার উঁচু করে দাড়িয়ে আছে সগৌরবে।পাশেই বিশাল মাদরাসার পাঠকক্ষ থেকে কুরআন হিফজ করবার শব্দ ভেসে আসছে একটানা,তালিবুল ইলমের তত্ত্বাবধান করছেন উস্তায। একটু অদূরে শানবাঁধানো ঘাটে কয়েকজন শিক্ষার্থী ওযু করছে।মসজিদ সামনে পাকা সড়ক বয়ে গেছে বহুদূর,রিকশা থেকে ধীরপায়ে নেমে এলো দু’জন। তাদের গন্তব্য মসজিদের পাশেই পারিবারিক কবরস্হানে, যেখানে কিছুদিন আগেও কেউ ছিলো না।আজ চিরস্হায়ী আবাসের বাসিন্দা হয়ে […]
একটানা বৃষ্টির ঝরঝর ঐকতান।ছন্দপতন নেই যেন। আজকাল বিকেল হতেই সারা আকাশ ঢেকে যায় তুলো তুলো মেঘে,ধীরে ধীরে আঁধার নেমে আসে চারপাশে।এই বিদ্যুত চমকানো বাদলার সময়টা কেমন অপার্থিব মোহময়তায় নিমগ্ন। ঘরবন্দী সময়ে আতিকা বারান্দায় গিয়ে দাড়ায়,বৃষ্টির ছাট এসে গায়ে লাগে তার।মনটা কেমন প্রচন্ড আকুপাকু করতে থাকে বৃষ্টিতে কাকভেজা হয়ে গোসল করতে।গায়ের পুকুরে সাতরে বেড়ানো,মাথার উপর বৃষ্টির বড়ো বড়ো ফোটা এসে ঝরতো। […]
মাইশা ও নোশিন দুজনই রামাদান নিয়ে বেশ উৎফুল্ল, আশান্বিত হয়ে অপেক্ষা করছে।এবারের রামাদান অন্যবারের তুলনায় বেশীই আলাদা।পুরো পৃথিবী কোয়ারেন্টাইনে বন্দী, চারপাশ স্তব্ধ, মৃত্যুর মিছিল কেবলই দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হচ্ছে।পড়াশোনা,স্কুল-কলেজ সব অনির্দিষ্ট কালের জন্য বন্ধ,রুটিনমাফিক টিউশন,ক্লাস কোচিংয়ের চাপ থেকে দু’বোনই মুক্ত।মাইশা ও নোশিন দুই চাচাত বোন।একই বাসার দুই ফ্লাটে থাকে তাদের পরিবার।মাইশা ক্লাস টেন এ উঠেছে এবার,নোশিন ক্লাস ফাইভ এ।দু’বোনের তাই […]
মাহমুদের বাড়িতে ফিরতে এখনো বেশ কদিন সময় লাগবে।এদিকে জুমানাও বেশ বোর হচ্ছে,একদিন,দু’দিন করে পাঁচটি মাস কাটিয়েছে প্রতীক্ষায়।অভিমান কি শুধু এখানেই?বিয়ের এক সপ্তাহ পরেই পড়াশোনা, রিসার্চের চাপে কোথাও দুজন বেড়াতে পর্যন্ত যেতে পারেনি।লেখালিখি,অনুবাদ নিয়ে ডুবে থাকে জুমানাও,বিরহী কাব্যেও ডায়েরীর পাতা ভরেছে বেশ।মাহমুদের গ্রামের বাড়ি বেশ শুনশান,সবুজ বনানীতে ঘেরা বাগানবাড়ি।সন্ধ্যায় জানালা খুলে দিতেই,কেমন মিষ্টি নস্টালজিয়া ঘ্রাণ নাকে এসে লাগে জুমানার,পাশের […]
বুক রিভিউউপন্যাস:জল অরণ্যকবি ও কথাসাহিত্যিকঃ আল মাহমুদমিজান পাবলিশার্সপ্রকাশকাল: ২০০৮
প্রিয় কবি -কথাসাহিত্যিক আল মাহমুদের উপন্যাস পর্যালোচনা করার দুঃসাহস করছি না,পাঠক হৃদয়ের অভিব্যক্তি তুলে ধরতেই এই ক্ষুদ্র প্রয়াস।উপমহাদেশ, অর্ধেক মানবী,ডাহুকী,নিশিন্দা নারী,আগুনের মেয়েসহ অসাধারণ উপন্যাস লিখে বাংলাদেশের কথাসাহিত্যে অনবদ্য ভূমিকা পালন করেছেন কবি আল মাহমুদ। কবির পরিচয় তো সর্বজনবিদিত, ১৯৩৬ সালের ১১ জুলাই ব্রাহ্মণবাড়ীয়া জেলার মোড়াইল গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।১৯৬৩ সালে প্রথম কাব্যগ্রন্থ “লোক-লোকান্তর” […]
শৈশবের দিনগুলো এতো মিষ্টি মধুর কেন হয়,তানহার জানা নেই।ওর মনে হয়, এমন কোনো দুঃখী মানুষও নেই পৃথিবীতে, যার শৈশব এ সুন্দর স্মৃতি নেই।বড়ো হয়ে মানুষগুলো কেমন কর্মব্যস্ত, বেখেয়ালি হয়ে যায়।তানহাও কি জানতে পেরেছে, ক্যাম্পাস,ক্লাস,অ্যাসাইনমেন্ট,আড্ডার মাঝে আব্বুকে সময় দেওয়া খুব কম হয়।তিনিও কাজের চাপে খোজখবর নিতে কম পান সময়।আবার,হয়ত বা তিনি জানেন না, তার আদরের মেয়েটা যে তাকে কত্তো মিস করে,আর […]
তীব্র বাতাসের ঝড়ের মধ্যে দিয়ে সামনে এগিয়ে যেতে হয় কখনো কখনো,আটপৌরে জীবনেও নাকে এসে লাগে অপার্থিব ভাষাহীন এক সুঘ্রাণ!হাতছানি দেয় সে সুবাস শৈশবের এক ফুলেল বিকেল বেলা,হলদে সোনালু ফুল রাশি রাশি বাতাসে ছড়ায় সদ্য কাদায় লেপা উঠোনে!পূর্নতার মাঝেও কি যেন নাই নাই উদাসীন অজানা অসুখের বিলাসিতায় কাটে প্রহর!প্রিয় দাম্পত্য, প্রিয়তমের উষ্ণতার মাঝেও কখনো খুব একা হয়ে যায় ভিতরের আমি!সন্তানের কল্লোলের […]
বই মেলায় কতোশত নতুন বইয়ের ভীড়ে,বইটার নামটা “কয়েকটি গল্প অতঃপর” কেমন একটা আগ্রহ বাড়িয়ে দিয়েছিলো,টুুকে রেখেছিলাম ডায়েরীতে পড়ব বলে।কয়েকটি গল্প.. অতঃপর,পাঠকের মনের কোণে তোলপাড়, নিজের স্মৃতিময় অতীতকে হাতড়ে বেড়ানোর কোশেশ,প্রতিটা গল্পের শেষে,না বলা একটা সমাপ্তি,পাঠক হৃদয়কে আসলেই ভাবতে বাধ্য করে,অতঃপর কি হবে।কল্পনায় মিলাতে চায় মন,কখনো আঁতকে উঠেছি আনমনে,আবার নিজের সমৃদ্ধ শৈশবকে খুঁজে পেয়েছি।“কয়েকটি গল্প অতঃপর” বইটিতে দশটি গল্পের সমাবেশ ঘটেছে।১ম […]
হাফিজ সাহেব চেয়ে আছেন গরুটার দিকে, কী সুন্দর চোখদু’টো টানা টানা।অকৃত্রিমতায় জড়িয়ে আছে, তার মাঝে আছে মাতৃত্বের ছায়া।আজ এতোকিছু বিষয় ভাবার সময় মিলেছে তাঁর।যাপিত জীবনে হয়তো এমন বিস্তর ভাববার বিষয় আছে,যা হয়তো অনেকে অপ্রয়োজনীয় কিংবা বালখিল্য মন করতে পারেন।অবসর জীবনে বিস্তর সময় পেয়েছেন বলা যাবে না,তবুও আজ বিকালটা একদম একলা প্রহর।চারিতে কতোগুলো খৈ,ভুসি-ভাতের মাড় পানিতে মিশিয়ে দিয়েছেন,গাই আর তার বাছুরটা […]
১.পছন্দের অনেক বইই যখন দুষ্প্রাপ্য,তখননীলক্ষেত-পুরান ঢাকা,পল্টন চলে যান।আপনারা কেউ এমন জায়গার সন্ধান থাকলে জানান।
২.মেইনকপি না পান,ফটোকপি -কপিরাইট কপি তো পেয়ে যাবেন।আলহামদুলিল্লাহ 😃৩.দুষ্প্রাপ্য বই পেলেই কিনে নেন,দ্বিতীয় বার দাম নিয়ে ভাববেন না।তাহলে,আম-সালা দুটোই যেতে পারে।😞
৪.প্রকাশক বা প্রকাশনী থেকে সরাসরি বই কিনুন,সঠিকদামে পছন্দ মতো বই কিনতে পারবেন।দু’টা বই কিনতে গেলে দশটা বইও কিনে ফেলতে পারেন।😊
৫.রামাদান মাসে বেশী বই কিনুন,ইসলামিক বইগুলো সুলভমূল্যে কিনতে […]
সন্ধ্যার পর আকিয়াবে বেড়াতে এসেছেন জয়নাব,সাথে পরিচারিকা ইলমা।বন্দরের চারপাশ আলোয় ঝল-মল করছে,দূর থেকে মিষ্টি হাওয়া ভেসে আসছে।ফ্লাস্কে গরম চা,পছন্দের বিস্কিট ও আছে সাথে।ইলমা কাপে চা ঢেলে চিনি,দুধ আলাদা ট্রেতে রেখে, সাজিয়ে পরিবেশন করলো সে।জয়নাব চা তৈরি করে নিলেন এরপর আয়েশী ভঙ্গিতে একটু একটু উপভোগ করছেন।হাতে পছন্দের একটা বই,বলা যায়,কর্মব্যস্ত জীবনে বই আর চা, এ দু’টি বেশী প্রিয় তার। এ চায়ের […]
বুক রিভিউউপন্যাসঃ কাবিলের বোনকবি ও কথাসাহিত্যিকঃ আল মাহমুদঅনবরত বৃক্ষের গান
প্রিয় কবি -কথাসাহিত্যিক আল মাহমুদের উপন্যাস পর্যালোচনা করার দুঃসাহস করছি না,পাঠক হৃদয়ের অভিব্যক্তি তুলে ধরতেই এই ক্ষুদ্র প্রয়াস।উপমহাদেশ, অর্ধেক মানবী,ডাহুকী,নিশিন্দা নারী,আগুনের মেয়েসহ অসাধারণ উপন্যাস লিখে বাংলাদেশের কথাসাহিত্যে অনবদ্য ভূমিকা পালন করেছেন কবি আল মাহমুদ। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পটভূমিতে রচিত হয়েছে তার অনন্য উপন্যাস উপমহাদেশ ও কাবিলের বোন।কবির পরিচয় তো সর্বজনবিদিত, ১৯৩৬ সালের […]
বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাফেটারিয়ায়, শাহরীন – আতিকা দু’জন গল্প করছিলো,সামনে ধূমায়িত চা।ক্যাম্পাস জীবনের কতোশতো গল্পের ভীড়ে, ক্লাসবিরতির সময় শেষ হয়ে আসে।সুন্দর আলো করা জীবনের কথা বলে শাহরিন-পড়াশোনা,পরিবার, ভবিষ্যতের কতো পরিকল্পনার কথা, স্বপ্নের কথা ভীড় করে সেখানে।সুন্দর গোছানো পরিবার,স্বামী-সন্তান,দ্বীনিদ্বারিতায় সাজানো সুন্দর আগামীর স্বপ্ন দু’চোখে।নিজেকে প্রতিনিয়ত গড়ে তুলছে, সেরকম করেই প্রত্যাশা আর প্রাপ্তি একই কি সুতায় গাঁথা থাকে! ভিন্নতার সুর সেখানে প্রবল।দীর্ঘক্যাম্পাস জীবনে আড্ডার […]
গত পনেরোটি দিন ধরে নির্ঘুম সুহাইলা কেমন অস্হিরতায় সময় কাটছিলো তার।নাওয়া-খাওয়া ঘুম একদম হারিয়ে গিয়েছিলো মন থেকে, বিষন্নতায় ডুবে থেকেছে।বইয়ের পাতায় মুখ লুকিয়ে, চায়ের মগে অনবরত চুমুকে, সে বিষন্নতা মন থেকে হাওয়া হয়ে যায়নি।বান্ধবীদের সাথে আড্ডা,পছন্দের জায়গায় ঠু মেরে এসেও আবার নিসঙ্গতা পেয়ে জড়িয়ে ফেলেছে তাকে।নিজেকে প্রশ্ন করে জবাব মেলাতে চেষ্টা করেছে,কি হয়েছে তার? কেন এমন আনমনা লাগছে? কোথাও কি […]
স্বপ্নের অদলবদল
পশ্চিমের বারান্দায় দাড়িয়ে আতিকা, রোজ আকাশ দেখে।প্রতিদিনই মুগ্ধ হয় সে,অবাক হয় প্রভুর সৃষ্টির কথা চিন্তা করে।কোনদিন পুরো আকাশটা আবীর রংঙের রাগে গাইতে থাকে,আবার কখনো মেঘের মাঝে আলোর প্রতিফলনে নতুন এক পৃথিবী,কখনো পাখির উঁকিঝুকি দিগ্বলয় জুড়ে!মাগরিবের আজান কানে আসতেই আকাশটা যেন আরো বেশী রহস্যময় হয়ে উঠে,সে সময়টাই বেশি প্রিয় আতিকার। এমনি সময় কখনো বা আহমেদ পিছন থেকে কাঁধ ছুঁয়ে এসে […]
স্রোতস্বিনী নদী শুকনো প্রায় খালবর্ষা এলে নৌকা চলতো টলমল,মরানদীর খরা দেখে শুধু, সখাতোমার-আমার বিচ্ছেদ আসে মনে!নদীয় আটকে আছে নৌকাগুলো,উজানে আর কেউ বাইবে না নাও,গাইবে না আর ভাটিয়ালী,তোমার গাওয়া নজরুলগীতি যেমন,বইতো ঝিরিঝিরি!
সব অপেক্ষা কি ফিরে পাওয়ার জন্য!কবির অপেক্ষা এক ফিরে না পাওয়ার।চাই না ফিরে আসুক,কবিতা!তবুও,কোন অমোঘ লগ্নে শুরু হয়েছিল,এ আজন্ম প্রতীক্ষা…নিষ্ফল কি করে বলি?অপেক্ষা তোমায় দিয়েছে প্রশান্তি, ভালোবাসা!অপেক্ষা জন্ম দিয়েছে প্রেমের!অপেক্ষার দিন ক্ষণ নেই,তবু আছে পরিতৃপ্তি!অপেক্ষা ধৈর্য্যের হৃদয়ের আকুতির!সবসময় অপেক্ষা কি পাওয়ার জন্য হয়?অপেক্ষায় কি মদিরতা আছে,তন্দ্রা-মোহ-ঘোর লেগে আছে!কবি কি তা জানে!
খোলসে জড়ানো কঙ্কালের সাথে বসবাস,মোহরে গড়ানো ঝঙ্কারের মাঝে হাঁশফাশ।
আবরণে ডাকা অনুভবে আজ পরাভব,নিবারনে শাখা তনুমনে রাজ জরাভাব!
চিৎকারে বিচূর্ণ বিশ্বাসের বালির বাঁধ,শিৎকারে বিদীর্ণ আশ্বাসের তৃপ্তির স্বাদ!
ক্ষুদ-পিপাসা বুঝি দায়মুক্ত প্রেম -পিয়াসা খুঁজি শ্লেষযুক্ত!
সব সমাপ্তির কি থাকে পরিণতি!বৃষ্টির ফোটা টিনের চালে পতনের আগে,লেখা সব কথা আমি শুনেছি।জানো,তোমার লেখা কবিতা পুরো,কখনো শেষ করতে পারিনি,সেদিনের যে উপন্যাসটা লিখেছো তুমি,অসম্ভব সুন্দর তার প্রতিটি অধ্যায়,শেষ অধ্যায় তুলে রেখেছি,আজো বইয়ের পাতা খুলে পড়ার সাহস হয়নি।আমি তোমাকে নিবিড় করে পেতে চাইনি,অসমাপ্ত থাক না!একটা সমাপ্তির খুব কি বড়ো প্রয়োজন বলো…শৃঙ্গারের সপ্তসুরের কি পৌছাতেই হবে,এর আগে কি একটা বড়ো পূর্ণচ্ছেদ পড়তে […]
আশ্বাস পাবার পর,সেদিনঅপলক নয়নে যদি হাসে ওই চাঁদছাড়পোকা নিঃশব্দে চুষে নেয়,রক্ত আর ভালোবাসার সব আস্বাদ!
অকপট মিথ্যা বাতচিত করে,শিথানে এলায়ে শরীর, আড়মোড়া দিয়েসব কালো যদি ভালো হয়,একদিন,এলোকেশী যদি মেঘের দেশে হারায় একদিন,খুঁজবে তুমি বলো!
অন্ধকারে বকবকানি,সাদাকালোর ঝলকানি তবুও,ফির হপ্তাহ,বছর যায়,কবিতার প্যাডে লেখা হয়,শ্রাব্য-অশ্রাব্য কতো গীত,বিশ্বাসের কি যায়,আসে?
পাখির ডাক……………..নিষন্ন পৃথিবীতে পাখির ডাক,বিষন্ন প্রকৃতিতে বুনো পায়রার ঝাক,প্রসন্ন প্রহরে বনশিয়ালের হাঁক,তারুণ্য ভরাভাদরে জীবনের বাঁক।
পাখির কিচিরমিচির না থাকলে,সত্যিই বড়ো নিষ্প্রাণ হয়ে যেতো বসুন্ধরা। ভালোবেসে পাখিরা সুধোয়,আমাদের, দেখো,পৃথিবীটা কতো আলোয় ছড়ায়,আমরা ঠোঁটে করে নিয়ে আসি,ঐ আলো!প্রিয় রব,কতো পাখি তুমি সৃজন করেছো,কতো সুরে বেঁধে দিয়োছো পাখিদের কণ্ঠে,নাম না জানা সেই পাখটি,ফজরের পর আজো যখন ডেকে উঠে,পারলৌকিকতায় নিজেকে কোন উর্ধ্বলোকে হারাই নিজেকে।কোকিকের কহুতান,দোয়েল […]
খুব বিষন্নতার শহরে,খুব কোলাহলে,অচেনা সময়ে,কোন এক সবুজ বৃক্ষের গান,প্রশান্তি দেবে উত্তপ্ত হৃদয়কে।খুব চেনা পায়ে হেটে এসে,দাড়াবো বনানীর ছায়।শির উঁচু করে তাকাবোশাখা-পল্লবে ঘেরা তরু ছাউনিতে,চড়ুই,টুনটুনির সংসার পেতেছে যেথায়।ডাল-পালার প্রাচীর ভেদ করে আসা, রবির কর যেন, আলো আর কালোর বুননে গেঁথেছে রূপকথা!অনন্ত কাল ধরে হয়ত আষ্ঠেপৃষ্ঠে বেঁধে আছে গল্পেরা এখানে।নিষন্ন পাতারা হাসে ফিকফিক,কেউবা ঝরে দিকে দিক।শুকনো পাতা বিজন বন,আপন হারা মন হয় […]
ক্লান্তিতে বেহুশ মুসাফির,একটুকু বৃষ্টির আশায়,বুকের ছাতি ফাটে।
ব্যথা, তীব্র যাতনায় অচেতন,শরীরে শেষ শক্তিটুকু লীন,গ্রীষ্মেরর দাবাদহে পুড়ে,তাঁর হৃদয় মন।
রাত্রি শেষে যখন চোখ,নিমীলিত করে তাকায় পথিক,ঝড়ের মুহূর্ত শেষে,বৃষ্টিস্নাত ধরা!কী অপরূপ সাজে নাইয়েছে নিজেকে,ধূলায়-মলিন মাঠ সিক্ত,পিচঠালা পথ মসৃন,ঝমকালো!
ঈমানী হৃদয় মশগুল,প্রভুর নিরব প্রেমে,সিজদায় পিয়ে গভীর সঙ্গোপনে!হৃদয়ে বসন্তে নেমেছে,ধুয়েছেসকল কালো-আধিয়ার।
কিন্তু,…..!ক্লান্ত পথিক….তৃষ্ণার মশক শূন্য পড়ে,পাথেয় কুড়ানোর আগে ফুরিয়েছে দম,বৃষ্টির আবে-হায়াত,ছুঁতে পায়নি হতভাগা!মিলবে কি তাঁর কঠিন দিবসে,সরাবান তাহুরা!শুধু,একফোটা!আকণ্ঠ […]